নিজস্ব প্রতিনিধি: গাছ কেটে ও জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা দখল করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা শহরতলীর মাগুরা কর্মকারপাড়ার বাসিন্দা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে তিনি ওই প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করলে স্থানীয় গ্রাম বাসি ও জনপ্রতিনিধির বাধার মুখে তা বন্ধ করতে বাধ্য হন।
মাগুরা কর্মকারপাড়ার মাহাবুবর রহমান মকুল, মতিয়ার রহমান মতিন, মাস্টার রমজান আলী ও ব্যবসায়ী পবিত্র মোহন ব্যানার্জী জানান, কর্মকারপাড়ার রাস্তাটি ম্যাপ অনুযায়ি ১৮ ফুট চওড়া। তবে কয়েক বছর আগে মাত্র ছয় ফুট জায়গার উপর দিয়ে পিচ দেওয়া হয়েছে। তবে রাস্তার দু’পাশের বাসিন্দাদের অনেকেই দুই থেকে তিন ফুট রাস্তার জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর বা বাড়ি বানিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাঃ নুরুজ্জামান আশাশুনি পশু সম্পদ অফিসের সহকারি চিকিৎসা কর্মকর্তা। তার আদি বাড়ি তালা উপজেলার খলিশখালি গ্রামে। ১০ বছর আগে তিনি এ পাড়ায় জমি কেনেন। দু’ বছর পর তিনি সেখানে বাড়ি করার সময় রাস্তার দুই ফুট জায়গা দখল করে সীমানা নির্ধারণ করেন। স¤প্রতি তার জমির লাগোয়া এক ব্যক্তি জমি মাপ করার সময় তার জমির মধ্যে লম্বালম্বিভাবে ছয় ইঞ্চি বেশি নিয়ে টি পিলার বসান। এরপরপরই নিজের জমি কমে যাওয়ায় ওই প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সোমবার সকালে রাস্তার আরো কিছু জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। এর আগে তিনি সরকারি জায়গায় লাগানো দুটি জিওলি গাছ কেটে নেন। বাধ্য হয়ে বাধা দেওয়ায় ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নজিবর রহমান টুটুলকে অবহিত করেন। একপর্যায়ে জনগন ও জনপ্রতিনিধির বাধার মুখে নুরুজ্জামান কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন।
এ ব্যাপারে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে ডাঃ নুরুজ্জামান বলেন, তিনি যথাযথ মাপ জরিপ করেই সীমানা নির্ধারণ করেছেন। তবে তার কিছু অংশ জমি পার্শ্ববর্তী জমির মালিক দখলের উদ্দেশ্যে টি পিলার বসিয়েছেন উলে¬খ করে তিনি বলেন, তিনি রাস্তার অংশ ছেড়ে দিয়েই প্রাচীর বানাবেন।
লাবসা ইউপি সদস্য নজিবর রহমান টুটুল বলেন, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা দখল করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ ওঠায় ঘটনাস্থলে এসে তার সত্যতা পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।