Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জে মসজিদের ইমামের ধর্ষণ: কলেজ ছাত্রীর সন্তান প্রসব

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ের প্রলোভনে ফেলে মসজিদের ইমাম হাবিবুল্লাহ আরবি পড়ানোর অজুহাতে এক কলেজ ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণে গর্ভবতী ও সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে।
আর এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বাবা, মা একাধিকবার ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেনের কাছে অভিযোগ জানালে মসজিদের ইমামকে বাঁচাতে ডিএনএ টেস্টের নামে কালক্ষেপণ করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের রতেœশ্বরপুর গ্রামে।
ভিকটিমের পরিবার জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী গোবিন্দপুর জামে মসজিদের ইমাম ও রতেœশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা মহাসিন কবিরের ছেলে হাবিবুল্লাহ’র কাছে আরবি পড়তে যায়। ওই সময় ইমাম হাবিবুল্লাহ বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে মসজিদের পাশে ইমামের থাকার ঘরে নিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছিলো।
এক পর্যায়ে ওই কলেজ ছাত্রী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্ব হয়ে পড়লে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। ঘটনাটি জানতে পেরে কলেজ ছাত্রীর বাবা, মা ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেনকে জানায়।
চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করতে থাকে। কলেজ ছাত্রীর গর্ভের সন্তান বড় হতে থাকলে আবারো চেয়ারম্যানের নিকট গেলে থানা পুলিশ ও ডিএনএ টেস্টের কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

এভাবে তালবাহানায় গত ১৭ দিন আগে কলেজ ছাত্রী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে গত ১৬ আগস্ট চেয়ারম্যান শওকাত হোসেন স্থানীয় আফছার মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে মথুরেশপুর ইউনিয়নের ম্যারেজ রেজিস্টার রমিজ উদ্দিনকে নিয়ে বিয়ে পড়াতে গেলে চেয়ারম্যানের পরামর্শে ইমামের বয়স কম হওয়ার অজুহাতে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেই ওই ইমাম।
এরপর থেকে ইমাম হাবিবুল্লাহ ও তার বাবাকে এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫ মাস অন্তঃসত্তা অবস্থায় আমাকে জানায়।

পরবর্তীতে বিবাহ রেজিস্টার ডেকে তাদের বিয়ে দেয়। ছেলের কয়েক দিন বয়স কম থাকায় ম্যারেজ রেজিস্টার রমিজ উদ্দিন তাদের রেজিস্ট্রি কাগজপত্র দেয়নি। তারা যে সমস্ত বক্তব্য দিচ্ছে সব বানোয়াট মিথ্যা।
আমার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্রুরা কুৎসা রটাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। ২/৩দিন আগে আমার নিকট আসছিল আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।

বিয়ে পড়ানোর বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য ম্যারেজ রেজিস্টার রমিজ উদ্দিনের নিকট জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বিয়ের কথা স্বীকার করে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
ঘটনার আরও সত্যতা জানার জন্য ইমাম হাবিবুল্লাহ মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা (ভুক্তভোগী) দুপুরে আসছিলো। এখনো পর্যন্ত লিখিত এজাহারের কপি হাতে পায়নি। কপি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version