কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় পড়া পারেনি এমন মিথ্যা অভিযোগ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বেধরক মারপিট করেছে ঝাপাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ।
বুধবার (৩আগস্ট) সকালে কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীর বাবা ঝাঁপাঘাট গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে নজরুল ইসলাম। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঝাঁপাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্র তৌফিক হাসান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৬ তারিখ আমার ছেলে স্কুলে গেলে অনুমান এগারোটার দিকে পড়া পারেনি এমন মিথ্যা অভিযোগ দেখিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চড় মেরে নীলাফোলা জখম করে দেয়। এমনকি এ ঘটনার পর তার বাম কান বধির হয়ে যায়। এমন সংবাদ পেয়ে উক্ত বিষয়ে শোনাবোঝা করিতে গেলে তারা সমঝোতায় না গিয়ে আমাকে তিরস্কার করে বের করে দেয়।
ঘটনার দিন থেকে ছেলে আর কখনো স্কুলে যাবে না এমন কথা বলছে বর্তমানে ছেলের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় জ্বর চলে এসেছে। এখন সে আতঙ্কগ্রস্থ। হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর বর্তমানে আমার ছেলে বাড়িতে অবস্থান করছে। সুবিচার পেতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, এই প্রধান শিক্ষক অদৃশ্য ক্ষমতায় ইতিপূর্বে ঝাপাঘাট গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আলিফ হোসেন, কামাল হোসেনের মেয়ে সাগরিকা পারভীন, নাসির উদ্দিনের মেয়ে শারমিন আক্তার শেখ কেরামত আলীর মেয়ে নাহার সহ একাধিক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে। সুবিচার পেতে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরসহ সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ব্যক্তিগত সেলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এইসএম রোকনুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্তটিম গঠন করা হয়েছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রুলি বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।