জয়নগর (কলারোয়া) প্রতিনিধি : কলারোয়া থানার দারোগা এনামুলের বিরুদ্ধে জয়নগর ইউপি’র এক মেম্বরকে অহেতুক জনসম্মুখে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ ও দু’দফায় ১২হাজার টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে।
জয়নগর ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ড মানিকনগর গ্রামের মেম্বর মোসলেম আলি জানান, কলারোয়া উপজেলার মানিকনগর গ্রামের মালায়েশিয়া প্রবাসী বাবু মোড়লের স্ত্রী মেয়েলি ঘটনায় বাদী হয়ে একই গ্রামের জালাল মোল্যার ছেলে জসিম উদ্দিন লিটনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য কলারোয়া থানার দারোগা এনামুল শনিবার (২৭ আগষ্ট) দুপুর আনুঃ বারটার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তাকে (মেম্বর মোসলেম আলি) ডেকে নেন।
উক্ত লিটনের বাড়ীর সামনে অহেতুক দারোগা এনামুল মেম্বর মোসলেম আলিকে জনসম্মুখে তুই তোকারি করে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করেন। একপর্যায় দারোগার এহেন আচারনের কথা মেম্বর মোসলেম আলি থানার ওসি’র কাছে নালিশ করার কথা বললে ওই দারোগা বলেন ও.সি তোর না আমার ? মেয়েলি ওই ঘটনা মিমাংসা করে দিবে বলে ওই দারোগা ৩০হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। টাকা না দিলে লিটনকে জেলহাজতে যেতে হবে বলে ভয়ভীতি দেখান ওই দারোগা। একপর্যায় লিটনের বাবার কাছ থেকে প্রথম দফায় দুই হাজার টাকা নিয়ে নেন। বাকী টাকা মিমাংসার পর দিতে হবে বলে সন্ধ্যায় থানায় বাদী-বিবাদীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে থানায় চলে যান। দারোগার কথামতো বাদী-বিবাদী পক্ষ শনিবার সন্ধ্যায় মেম্বও মোসলেম আলিসহ থানায় হাজির হন। একপর্যায় বিষয়টি মিমাংসার পর উক্ত লিটনের কাছ থেকে দ্বিতীয় দফায় ১০হাজার টাকা ঘুষ নেন দারোগা এনামুল।
এবিষয় মোবাইল ফোনে কলারোয়া থানার দারোগা এনামুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মেম্বর মোসলেম আলির সাথে সামান্য ভূল বুঝাবুজি হয়েছে। আমি মেম্বরকে সরি বলেছি। তবে ঘুষ নেওয়ার বিষয় তিনি অস্বীকার করেন।