মীর খায়রুল আলম : দেবহাটার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর হেলে পড়ে পড়েছে দীর্ঘদিন। সেই সাথে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। যে কোনো সময় সেটি ধ্বংসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় দেয়াল ঘেঁষা মাঠের সাথে রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ থেকে কয়েক গজ দুরে অবস্থিত সদরের মডেল বিদ্যালয়। ১৯১৯ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টি প্রাথমিক শিক্ষায় শতবর্ষ পার করেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। যার বিপরীতে ১০ জন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন।
বিদ্যালয়টি লেখাপড়ার মানে এগিয়ে আছে বহুদিন ধরে। শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এই বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে একটি সু-বিশাল খেলার মাঠ। যেখানে উপজেলার প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বিভিন্ন পর্যায়ের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। মাঠের উত্তর পাশের শিশুদের নিরাপত্তা দিতে এবং স্কুল ভবনকে আলাদা রাখতে রয়েছে প্রাচীরের ব্যবস্থা। আর এই প্রাচীরের পাশ দিয়ে মাঠের রয়েছে সাধারণ মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা। তবে বিদ্যালয়ের গেটের সাথে মিলিত প্রধান প্রাচীরটি দীর্ঘ ধরে মাঠের দিকে ঝুঁকে পড়ে মূল অংশ থেকে সরে এসেছে। এতে করে প্রাচীর ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বিরাজ করছে। এমনকি প্রাচীরের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ছোট বড় ফাটল। আর তাই ভেঙে পড়ার ভয়ে থাকেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও মেলেনি কোন সমাধান। এতে করে দুঃশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। এবিষয়ে অভিভাবক দিপঙ্কর কুমার দাস জানান, আমরা সন্তানদের স্কুলে লেখাপড়া শিখে ভালো মানুষ হয়ে দেশ সেবার জন্য। কিন্তু সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি নিরাপদ পরিবেশ না থাকে তাহলে আমাদের চিন্তার শেষ থাকে না।
আরেক অভিভাবক জয়দেব পাল জানান, দেবহাটার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে মূল প্রাচীর হেলে গেছে। যে কোন সময় পড়ে যেয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে দেয়াল পড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর শুনতে পায়। না জানি এমন কোন খবর যেনও আমাদের স্কুলে না হয়। সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। দেবহাটার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার পাল জানান, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অতিদ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। দেবহাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজাহান জানান, বিষয়টি আমি জানি। আমিসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।