নিজস্ব প্রতিনিধি : লবণ পানির আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমি। লবণ পানির আগ্রাসন থেকে কৃষি জমি বাঁচাতে উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি,উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিম এবং নাগরিক সুরক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা মৎস্য অফিসার এবং কৃষি অফিসার এর সাথে প্রাথমিকভাবে আলোচনা এবং কিছু দাবি তুলে ধরেছেন। বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০ টায় সংগঠনের সদস্যরা উভয়ের দপ্তরে গিয়ে পৃথক পৃথক মতবিনিময় করেন। কৃষি জমির নিরাপত্তায় তারা দাবি তুলে বলেন, উপ-সহকারীদের সহায়তায় কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্তকারীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।
এছাড়া মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে অবশ্যই প্রতিটি ইউনিয়নে মৎস্য ঘেরের আউটড্রেন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।তাদের দাবির মধ্যে আরো বলেন, লবণ পানির ঘের করলে অবশ্যই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে এবং কৃষি জমি বা জমির আশপাশে নতুনভাবে লবণ পানির চাষ না করতে ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে। এসময় উপজেলা মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদার বলেন, চিংড়ি নীতিমালা থাকলেও তার প্রয়োগ নেই। আপনারা যে দাবি তুলেছেন তা খুবই যৌক্তিক। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ইউনিয়নে চিংড়ি নীতিমালা অনুযায়ী ঘের পরিচালনা সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া প্রতি ইউনিয়নে আমাদের ইউনিয়ন লিফদের মাধ্যমে ঘের মালিকরা যেন ঘের করতে যেয়ে কৃষি জমির ক্ষতি না করে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এনামুল ইসলাম এর সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, আগামী ২২ আগস্ট মাসিক সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করে এই মাসেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য চেষ্টা করা হবে। এসময় তিনি জনসংগঠন সহ সকল সংগঠনকে পাশে থাকার জন্য অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন আপনারা যদি পাশে থাকেন অবশ্যই এই এলাকার কৃষিকে লবণ পানির আগ্রাসন থেকে মুক্ত করা যাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কেন্দ্রের সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, কৃষক নেতা নজরুল ইসলাম, ক্ষুদ্র মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি সাংবাদিক আবু সাইদ, বারসিকের কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী আল ইমরান, সিডিও ইয়ুথ টিমের সদস্য হাফিজুর রহমান, জগবন্ধু কয়াল প্রমুখ।