নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীসহ এক চা বিক্রেতার মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে শহরতলীর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন জলাশয় ও তালা উপজেলার শুকদেবপুর গ্রাম থেকে থানা পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।
পরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আস্দাুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
সাতক্ষীরা সদরের বকচরা গ্রামের নুরুজ্জামান জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মাছের ঘেরের দক্ষিণপাশে বাইপাস সড়কের উপর তাজা রক্ত ও সেখানে পড়ে থাকা একটি জুতো দেখে পথচারীরা ভিড় জমায়। পরে তারা বাইপাস সড়কের পাশে লাগানো নেপিয়ার ঘাস বনের পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে অনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির গলাকাটা পুরুষের লাশ দেখে তাকে খবর দেন। তিনি ঘটনাস্থলে এসে সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ সাড়ে ৮টার দিকে ওই লাশ উদ্ধার করে। ধারনা করা হচ্ছে দুর্বত্তরা তাকে অন্য স্থান থেকে ধরে এনে বাইপাস সড়কের উপর জবাই করে হত্যার পর লাশ জলাশয়ে ফেলে দিয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, গলাকাটা লাশটি শহরের সুলতানপুরের চা ব্যবসায়ি ইয়াছিন আলীর। তিনি সুলতানপুর কাজিপাড়ার মৃত শাহবাজ মোল্লার ছেলে। শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা বাজারের চা বিক্রি করতেন তিনি।
পুরাতন সাতক্ষীরায় তার চায়ের দোকান আছে। তার মাথা পাওয়া যায়নি। নিহতের স্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় বিরোধের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে বুধবার ভোরের কোন এক সময়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন করা হয়েছে।
অন্যদিকে সাতক্ষীরার তালায় ৫ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুকদেবপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম আঁখি খাতুন (১০)। সে সুকদেবপুর গ্রামের মফিজুল মাহমুদের মেয়ে ও সুকদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে আঁখি ঘুম থেকে না উঠলে, পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, নিহতের হাতে একটি দাগের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর কারনটি সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর আসল রহস্য পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।