নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে কাকার বিক্রি করা সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন উপজেলার কুশুলিয়া গ্রামের মৃত অজিহার রহমানের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য কাজী মনিহার রহমান (৭০)।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমি ২৩/০৩/১৯৭৯ তারিখে ২৬২২ নং কোবলা দলিলমূলে এস,এ রেকর্ডিয় মালিক হরিপদ মন্ডলের নিকট থেকে বর্তমান মাঠ জরিপে বিএস খতিয়ান ৪৭২, বিএস দাগ ৪২০৬ জমির পরিমানের মধ্যে ৯৩ শতক জমি ক্রয় করি যার উত্তরে জাহিদ, দক্ষিণে পরিতোষ, পূর্বে সবুর ও পশ্চিমে অহিদুর এর অবস্থান। এর মধ্যে ৩৩ শতক জমি ভোগদখল করছি। বাকী ৬০ শতক জমি তারা চাষাবাদ করার জন্য আমার নিকট থেকে বর্গা নেন। সে সূত্রে কুশুলিয়া গ্রামের পঞ্চানন মন্ডল চাষাবাদ করতেন এবং তার মৃত্যুর পর তার পুত্র সুব্রত মন্ডল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং কিছু কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় উক্ত জমি ভোগদখল ও বিক্রি করার পায়তারা করছে। আমার মানসম্মান হানি করার জন্য তারা মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথা বলেন। আমি আমার সম্মানের কথা চিন্তা করে আইনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি পাওয়ার জন্য মামলা করি সেটা চলমান আছে।
এর আগে স্থানীয়ভাবে কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্যাহ এবং স্থানীয় মেম্বর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দুই পক্ষের উকিলের সহযোগিতায় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমার পক্ষে রায় হয়। তারপর তারা কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় সিভিলে মামলা করেন যেটা চলমান। আমি পরবর্তীতে ১৪৪ ধারায় মামলা করি যার কারণে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে জমিতে সবার যাওয়া নিষিদ্ধ আছে। তারপরও কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় তারা চাষাবাদ করতে গেলে প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। এখন তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মামলাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করছে। তিনি আরও বলেন, আমি কোবলাকৃত জমি তাহার চাচাতো কাকা হরিপদ মন্ডলের নিকট থেকে আমি এবং আবু মোসলেম ক্রয় করি। পরবর্তীতে আবু মোসলেমের নিকট থেকে পঞ্চানন মন্ডল ক্রয় করেন সেহেতু তার চাচাতো কাকার সে কোন দাবি রাখতে পারে না। তিনি জমি দখল পাওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এসময় কাজী মনিহার রহমানের ছেলে ও এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।