ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ট্যাংরাখালিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক দু’ ইউপি সদস্যের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর ও দুইজন খুন হওয়ার ঘটনায় আরো তিনজনকে নিজ বাড়ি ও একজনকে শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার ট্যাংরাখালি গ্রামের জোহর আলীর ছেলে জিয়াউল হক লিটন, একই গ্রামের নূর আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ, আসানুর হক ও মল¬ুর হোসেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক মোমরেজ আলী জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে জিয়াউলকে তার শ্শুর বাড়ি কৈখালি ও অপর তিন সহোদরকে ট্যাংরাখালি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে বৃহষ্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
ঘটনা ও মামলার বিবরনে জানা যায়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রমজাননগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আব্দুল বারী বিএনপি কর্মী আব্দুল হামিদ লাল্টুর কাছে পরাজিত হন। এরপর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে জয়ী ও পরাজিত ইউপি সদস্য্র ও তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষ্যে শুক্রবার সোয়া ৬টার দিকে দিকে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসে বিশেষ সভা চলাকালে বর্তমান ইউপি সদস্য বিএনপি কর্মী আব্দুল হামিদ লাল্টুর নেতৃত্বে বিএনপি’র সভাপতি আনিছুর রহমান, লাল্টুর ছেলে মোখলেছুর রহমান মিলন, মেহেদী হাসান,কালিঞ্চি ইউপি সদস্য আজগার আলী বুলু, র্যাব-৮ এর কাছে আত্মসমর্পণকারি বনদস্যু ট্যাংরাখালি গ্রামের আব্দুল অলিম, মিকাইল হোসেন, মাদক মামলার আসামী ছাদেক, ভাই আব্দুল কাদের, সোবহানসহ শতাধিক লোক হাতে দা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে ট্যাংরাখালি গ্রামের মৃত তফিলউদ্দিন গাজীর ছেলে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারি বাদি হয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টু, ইউপি সদস্য আজগার আলী বুলুসহ ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫০ জনকে আসামী করে শনিবার থানায় একটি হত্যা মামলা (১৩) দায়ের করেছেন। ৯ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে খুলনা র্যাব-৬ এর সদস্যরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন সাতজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে রাতেই থানায় সোপর্দ করে। বাকী তিনজনকে আটক করে পুলিশি নিরাপত্তায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমাÐ আবেদন জানিয়ে ১০ জুলাই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।