দেবহাটা প্রতিনিধি: চলতি বর্ষা মৌসুমে ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কে দুর্ঘটনা হতে দেখে নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করলেন দেবহাটার এক যুবক আজহারুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ উদ্যোগে পিচের রাস্তার ইট, বালু দিয়ে গর্ত ভরাট করে চলা চলের উপযোগী করেন তিনি। চলমান বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা সদর হতে দেবহাটাগামী আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এই গর্তে যান বহনের চাকা আটকে দুর্ঘটনার লেগেই আছে। এমনকি কোথাও কোথাও মৃত্যুর মত ঘটনাও ঘটেছে। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পূর্ব সময়ে সাতক্ষীরা থেকে গ্রামের বাড়ি কোমরপুরে আসছিলেন সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আলফেরদাউস আলফার বড়ছেলে ও সাবেক জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা আজহারুল ইসলাম।
এসময় দক্ষিণ আলীপুর ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে একটি সড়ক দুর্ঘটনা দেখতে পান। তার কয়েক মিনিটের মধ্যে ওই স্থানে আরো ২টি দুর্ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতি দেখে তিনি দুর্ঘটনা কমাতে এবং মানুষের দূর্ভোগ কমাতে উদ্যোগ নেন।
দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম (৬৫) জানান, সড়কের পিচ উঠে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ছোটবড় দুর্ঘটনা হচ্ছে। বর্ষার পানি জমে এসব গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সড়কে চলাচলের অযোগ্য হতে বসেছে। রাস্তায় আসছে দেখা যায় মানুষ দূর্ঘটনায় পড়ে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হাচিনা খাতুন (৫১) জানান, রাস্তার পাশে বাড়ি হওয়ায় দিনের মধ্যে কয়েকবার পানি নিয়ে ছুটে আসতে হয় মানুষের মাথায় পানি দিতে। রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়াতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা হচ্ছে। এমনকি কিছুদিন আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়। সরকারি ভাবে প্রায় সংস্কার করলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। তবে ব্যক্তি উদ্যোগে সংস্কার হতে দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এবিষয়ে সাবেক জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা আজহারুল ইসলাম জানান, আমি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলাম এসময় আলীপুরের ঈদগাহ নাম স্থানে আসলে সেখানে একটি দুর্ঘটনা দেখতে পাই। ওই স্থানের সড়ক প্রায় ২ হাতের বেশি গর্তের সৃষ্টি দেখতে আমার পিতাকে ফোন করি। তার নির্দেশে ইট, বালু নিয়ে মানুষের চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি এ দায়িত্ব একা সরকারের না, আমরা সবাই সমাজের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করি তাহলে আমাদের দেশটা আরো সুন্দর হবে। পাশাপাশি সরকারি ভাবে স্থায়ী সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।