বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা : স্মৃতি শক্তি হারিয়ে পিতার বাড়ি থেকে ৪০ বছর আগে নিখোঁজ একলিমা খাতুনের অবশেষে সন্ধান পেয়েছে তার পরিবার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট এর সূত্র ধরে তার সন্ধান পাওয়া যায়। নিখোঁজ হওয়া একলিমা খাতুন বর্তমানে পাকিস্তানের শিয়ালকোর্ট এলাকায় রয়েছে। একলিমা খাতুনের সন্ধান পাওয়ার পর তার পিতার বাড়িতে সহ আত্মীয় স্বজনদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। একলিমা খাতুন তালা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মো. ইসমাইল শেখ’র মেয়ে।
একলিমা খাতুনের নিকট আত্মীয় আলহাজ্ব মো. নুর ইসলাম জানান, তার ফুফু একলিমা খাতুনের তালা উপজেলার নেয়াকাটি গ্রামে বিয়ে হয়। সেখানে তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলার কারণে তিনি তার পিতার বাড়ি গঙ্গারামপুর গ্রামে থাকতেন। এখান থেকে ১৯৮২সালে একলিমা হারিয়ে যায়। বহুস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হতাশ হয়ে তাকে খুঁজে পাবার আশা ছেড়ে দেন। কিন্তু দীর্ঘ ৪০ বছর পর সম্প্রতি ফেসবুকে পাকিস্তানি এক যুবকের ফেসবুক আইডিতে এক মহিলার উর্দু ভাষায় কথা বলা ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে এবং ওই মহিলার বাড়ি তালায় বলে উচ্চারণ করে।
এ থেকে বর্তমানে বৃদ্ধা ওই মহিলার বাড়ি তালা উপজেলায় এবং তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে আসার আকুল আবেদন করায় তালা অঞ্চলের বিভিন্ন ব্যক্তিরা ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার সহ তালা উপজেলা ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রæপে শেয়ার করতে থাকে। এক পর্যায়ে একলিমা খাতুনের ভ্রাতুষ্পুত্ররা বিষয়টি দেখতে পায়। পরে একলিমার ভায়েরা মহিলাকে তাদের হারিয়ে যাওয়া বোন হিসেবে শনাক্ত করে। পরে ফেসবুকে দেয়া ঠিকানা ও নং থেকে পাকিস্তানে থাকা একলিমার সাথে যোগাযোগ করে তার পরিবারের লোকজন। সাংবাদিক মো. নুর ইসলাম বলেন, পাকিস্তানে কীভাবে পৌঁছালো তা বলতে পারছে না একলিমা খাতুন। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের শিয়ালকোর্টের দালু ওয়ালি এলাকায় রয়েছেন একলিমা খাতুন। সেখানে তার বিয়ে হয় এবং দুটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে একলিমা খাতুন বাংলাদেশের নিজ পিতার বাড়িতে ফিরে আসতে ব্যাকুল হয়ে পড়েছে। তিনি যাতে দ্রæত নিজ জন্মভূমিতে ফিরতে পারে সেজন্য একলিমা সহ তার এদেশের আত্মীয়-স্বজনরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।