নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনির কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনে শিক্ষক- কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা প্রাণ হাতে নিয়ে স্কুল পরিচালনা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি দীর্ঘকাল সুনামের সাথে পরিচালিত হয় আসছে। বিদ্যালয়ের কাচা পাকা ও পাকা বিল্ডিং এ ক্লাস ও অফিস পরিচালনা করা হয় থাকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ও শিক্ষক মিলনায়তন ১৯৭২/৭৩ সালে নির্মীত দু’ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা বিল্ডিং এ চালু আছে। এ বিল্ডিং এর উপরে ১৯৯৭ সালে ২য় তলার নির্মাণ কাজ করা হয়।
এই ২য় তলার দু’ টি কক্ষে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে। অফিস রুম টাইলস বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বিল্ডিংটি মোটামুটি দর্শণীয় হলেও বর্তমানে বিল্ডিং এর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। মেঝে, দেওয়াল, ছাদে ফাঁটল ধরেছে। অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ। মেঝের টাইলসও বসে ও ফাকা হয়ে গেছে। বিল্ডিং এর পিছনে ২০০০ সালে সারিবদ্ধ ভাবে মেহগনি গাছ লাগানো হয়েছিল। গাছ গুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। গাছের শেকড় বিল্ডিং এর ভীতের মধ্যে ঢুকে গেছে। ফলে বিল্ডংকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খান বলেন, ভবনটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রæত অসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণ না করা হলে যেকোন সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, এখনই বিল্ডিং এর পিছনের মেহগনি গাছগুলো কেটে ফেলা দরকার। সাথে সাথে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।