ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার খোলটপটুয়া নদীর পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় পার্টির সাবেক হুইপ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক এমপি এইচ.এম গোলাম রেজা। তিনি ২০ জুলাই বুধবার বেলা ১২টার দিকে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি,পুড়াকাটলা,কলবাড়ীসহ প্লাবিত বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের খোজ খবর নেন। এ সময় তিনি দূর্গাবাটি পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ১ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল ২ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, ৫০০ রসুন সহ আনুষঙ্গিক নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।
এ সময় সাবেক হুইপ ও সাবেক এমপি এইচ এম গোলাম রেজা বলেন, প্রতি বছরই নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। এসব উপক‚লীয় ইউনিয়ন গুলোতে দিন দিন দরিদ্রের সংখ্যাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে তাদের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। ঘেরের লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে তারা সর্বশান্ত হচ্ছে। মাছ ও কাঁকড়া চাষ করতে না পারায় তারা দিন দিন হতদরিদ্রের কাতারে শামিল হচ্ছে। টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় এসব ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ি করলেন জন প্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের। তাদের গাফলতির কারনে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানি ঢুকে বেঁেচ থাকার সম্বল টুকুও ভেসে নিয়ে যায়, এর ফলে তারা হত দরিদ্রের নিচে নেমে যাচ্ছে।
তিনি সমাজের স্বচ্ছল মানুষদের আহ্বান জানান তারাও যেন সামর্থ অনুযায়ী বানভাসী সবস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়ায়। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে দূর্গাবাটি ভেঙে যাওয়া বোড়বাঁধ দ্রæত বেধে ফেলার আহবান জানান। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দৃষ্টিআকর্ষন করে উপক‚লীয় এলাকায় স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কালিগঞ্জ উপজেলাধীন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন, জাতীয় পার্টির নেতা এস.আম আবু ঈসা, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ ইমদাদুল হক, মোঃ আব্দুল কাদের, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আলমগীল হোসেন, সাংবাদিক শেখ আব্দুল হাকিম, প্রমূখ।