জুলাই ২১, ২০২২
পাটকেলঘাটায় তামান্নাকে দাহ্য পদার্থ ছুঁড়ে হত্যা ৪ আসামীর জামিন না’মঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ৫ মে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন বড় কাশিপুর গ্রামের তামান্না খাতুন নামের এক নারীকে কপোতাক্ষ পাড়ে দাহ্য পদার্থ ছুঁড়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চার আসামীর জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম বৃহষ্পতিবার জামিন আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী কলারোয়ার তুলসীডাঙার সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে পাটকলেঘাটা থানাধীন বড় কাশীপুর গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে তামান্নার মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় ২০০০ সালে। তামান্না সাদ্দামকে তালাক দিয়ে পুরতেন সাতক্ষীরার আবুল হোসেন সরদারের ছেলে ফরহাদ হোসেনকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল বিয়ে করে। গত ৫ মে সন্ধ্যায় তাদের বাড়ির পাশে কপোতাক্ষ নদের ধারে স্বামী ফরহাদের সঙ্গে বেড়াতে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্বের স্বামী সাদ্দাম ও বড় কাশীপুর গ্রামের আব্দুল আলালের ছেলে শেখ তুহীন হোসেনসহ বৃহষ্পতিবার জামিন না’মঞ্জুর হওয়া আসামীরা তাকে তামান্নাকে লক্ষ্য করে দাহ্য পদার্থ ছুঁড়ে মারে। একে তামান্নার পিঠ, মুখ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। স্ত্রীকে বাঁচাতে যেয়ে দº হয় ফরহাদ। একপর্যায়ে তামান্না ও ফরহাদকে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ৬ সে তামান্নার বাবা আব্দুল হক বাদি হয়ে সদ্দাম হোসেন, তুহীন শেখ, ফিরোজ, নাজমুল, আব্দুল হামিদ ও সোহারাব হোসেনের নাম উলে¬খ করে পাটকেলঘাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই পুলিশ সাদ্দাম ও তুহিনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। ১০ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তামান্না মারা যায়। সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, গত ২৮ জুন ফিরোজ হোসেন, শেখ আব্দুল হামিদ, নাজমুল হোসেন ও সালাহউদ্দিন মহামান্য হাইকোর্টে অগ্রিম জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করতে বলে। সে অনুযায়ি ওই চার আসামী বৃহষ্পতিবার সংশি¬ষ্ট আদালতে হাজির হয়ে জাইমন আবেদন করলে বিচারক এমজি আযম আবেদন শুনানী শেষে জামিন না’মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন না’মঞ্জুর হওয়া ফিরোজ হোসেন হওয়া ফিরোজ হোসেন বলেন, তার চাচা আব্দুল হকের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে মামলা রয়েছে। তামান্নাকে ১৩ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়ার তিন দিন পর ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। এরপর তামান্না প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনেককে নিঃস্ব করেছে। মোবাইল ফোনে মালয়েশিয়ায় থাকাকালিন ১০ লক্ষ নগদ টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। সাদ্দামকে তালাক না দিয়ে ফরহাদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তামান্না। এরই জের ধরে সাদ্দাম তামান্নাকে দাহ্য পদার্থ ছুঁড়ে মারতে পারে। কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে তাদের চারজনের কোন সম্পর্ক নেই। জমি নিয়ে মামলার কারণে পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে আসামী করা হয়েছে। 8,561,028 total views, 11,634 views today |
|
|
|