ঝাউডাঙ্গা প্রতিনিধি : সদরে ঝাউডাঙ্গা বেতনা নদী খাল খননের কাজ বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে হাজারও মানুষ। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ সহ ঊদ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। রবিবার (৩১ জুলাই) সকালে বেতনা খাল খননে সেই অনিয়মের অভিযোগ চোখে পড়ার মতো। সরোজমিনে দেখা যায় খাল খননের কাজ বন্ধ আছে কিন্তু বেতনা নদী খনন কৃত মাটি বহনের দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।কোন কিছুতেই তোয়াক্কা না করে চলছে মাটি বাহনের কাজ। বেতনা নদী খননের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের সুবিধার জন্য নদীর মাঝ বরাবর দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধ তৈরি করে। কিন্তু পরবর্তীতে খননের কাজ বন্ধ হওয়ায় এলাকার কিছু অসাধু মাটি খাদক বেতনা নদীর মাটি বিক্রয়ের জন্য বেতনা নদীর মাঝ বরাবর তৈরি বাঁধ তারা মাটি বহনের কাজে ব্যাবহার করছে এমনটাই জানালেন এলাকাবাসী। বর্ষা মৌসুমে খাল খননের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু সেই বেতনা নদীর মাঝ বরাবর রাস্তার কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নী আজও পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা গেছে । বর্ষা মৌসুমে কারনে খাল খননের কাজ বন্ধ আছে কিন্তু মাটি খাদক সিন্ডিকেট সাতক্ষীরা প্রায় ২২ লক্ষ মানুষের কথা চিন্তা না করে তাঁরা তাদের অবৈধ অর্থ উপার্জনের জন্য সেই বাঁধ ব্যাবহার করছে। পরবর্তীতে সেটা এখন মাটি বহনে রাস্তা হয়ে আছে। সেই বাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত তারা নদীর মাটি বহনের কাজ দিদারসে চালিয়ে যাচ্ছে এমনটাই জানালেন এলাকাবাসী। যার ফলে বর্ষা মৌসুমের বেতনা নদীতে পানি জমে থাকলে বেতনা নদীর দুই পাড়ের মানুষ সহ গ্রামগঞ্জের পানিতে প্লাবিত হতে পারে। অনুসন্ধানে জানাযায় বেতনা নদীর পানির উৎস হচ্ছে বিভিন্ন খাল এবং বিল হতে পানি প্রবেশ করে। বেতনা নদীর সংযোগের উৎস হচ্ছে কলারোয়া মুরালীকাটি, যুগীবাড়ি, ঝাউডাঙ্গা, পাথরঘাটা, গোবিন্দকাটি ,সহ বিভিন্ন উৎস হতে এই বেতন নদীতে পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু বেতনা নদী খনন এর কাজ বন্ধ হলে নদীর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ তৈরির ফলে পানি চলাচলের পথ বাঁধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। ঐ সকল বাঁধগুলো এখন এলাকায় মাটি খাদক সিন্ডিকেট তারা বাম্পার ট্রাক টলি ও ভ্যানযোগে মাটি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করছে এমনটাই অভিযোগ রয়েছে। বেতনা নদী খননের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আবুল কালাম এন্টারপ্রাইজ প্রোপাইটার আক্কাজ এর কাছে এই প্রতিবেদক নদীর মাঝ বরাবর বাঁধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা নদীতে বাঁধ দিয়েছিলাম ।নদী খননের সময় নদীতে পানি থাকলে কাজে অসুবিধা হয়। সে কারনে পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধ দেয়। কিন্তু সেগুলো এখন মাটি বহনের জন্য ব্যবহার হচ্ছে এটা আমার জানা নেই।
আমরা এসেছি বেতনা নদী খনন করতে মানুষের উপকারে যদি বাঁধের কারণে পানির নিষ্কাশনের সমস্যা হয় তাহলে আমরা দু-একদিনের ভিতরে সেটা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করব বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন কিন্তু দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি তাদের অর্থ উপার্জনের জন্য এ ধরনের কাজ করছে তিনি আরো বলেন তারা প্রতি ভ্যান ২০ টাকা এবং ট্রলিপতি ৫০ টাকা তাদেরকে দিতে হচ্ছে এমনটাই জানালেন অনেকেই।তারা আরো বলেন মাটি বহনের ফলে অল্প বৃষ্টিতে কাঁদা সৃষ্টি হচ্ছে এবং চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে ,মাঝে মধ্যেই ছোট বড় দুর্ঘটনা হয় তা ছাড়া ও অবৈধ যানবহনে মাটি বহনের ফলে রাস্তার ভাঙ্গোনের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে তাঁরা আরো বলেন বর্ষা মৌসুমীর শুরুর আগেই যদি নদীর মাঝ বরাবর থেকে বাঁধ উঠিয়ে নেয়া হয় তাহলে পানি নিষ্কাশনে কোন সমস্যা থাকবে না। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ সহ ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।