Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে নির্মাণের ৫ বছর পর ভেঙে পড়লো ব্রিজ ভোগান্তিতে মানুষ

সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনিতে শোভনালী ইউনিয়নের মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত কুন্দুড়িয়া-বাঁকড়া ব্রিজটি নির্মাণের ৫ বছর যেতে না যেতেই ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে ব্রিজের মাঝখান বরাবর দেবে গিয়ে ত্রিভুজ আকৃতি হয়ে ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামীণ জনপদের সর্বস্তরের মানুষ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫৪ লক্ষ ৪ হাজার ৬৫০ টাকা বরাদ্দে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ১৪ ফুট প্রস্থে বক্স ব্রিজ নির্মাণ করেন। খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মেসার্স জি এম হাসিব ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে। ৫ বছর যেতে না যেতেই ব্রিজটি ভেঙে গ্রামীণ এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থায় চরম ভোগান্তির কথা ভেবে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

কুন্দুড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জানান- দীর্ঘকাল ধরে পলি পড়ে মরিচ্চাপ নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় খেয়া পারাপার সহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এলাকা বাসীর দাবির প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করে স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির হস্তক্ষেপে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

এরপর মরিচ্চাপ নদী পূণঃখনন কার্যক্রম শুরু হলে ওই ব্রিজের নীচ থেকে মাটি অপসারণ করা হলে ব্রিজটি স্থায়িত্ব সংকটে পড়ে। নির্মাণের সময় নদী খননের কথা মাথায় না নিয়ে যেনতেনভাবে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। মাঝখানের পিলারের তলদেশ থেকে মাটি অপসারণ করায় বেশ কিছু দিন থেকে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও এর উপর দিয়ে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতো। মঙ্গলবার মাঝের অংশের পিলারটি দেবে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য উদয় কান্তি বাছাড় জানান- বছর খানেক আগে কামালকাটি (শালখালী বাজার সংলগ্ন) ব্রিজ ও কুন্দুড়িয়া ব্রিজ ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী সহ এলাকার সব ধরনের যানবাহন ও পথচারী।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ানুর রহমান জানান- নির্মাণের ৫ বছর যেতে না যেতে ব্রিজটি কেন ভেঙে পড়লো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি জনভোগান্তি কমাতে অতিদ্রæত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version