সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মাদার নদীতে মাছ ধরার সময় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া কেরামতের লাশ ভেসে উঠল ২৪ ঘণ্টা পর। নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার পরপরই গ্রামবাসী অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের শরণাপন্ন হয়। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে তারা খুঁজে না পেয়ে খুলনা থেকে ডুবুরি দল নিয়ে আসে। ডুবুরি দল বেলা ১১ টা থেকে শুরু করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ব্যাপক প্রচেষ্টার পরেও সফলতা আসেনি। গ্রামবাসী ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিদলের একত্রিত সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তারা উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
তবে নিখোঁজের স্বজনেরা হাল ছাড়েনি সারারাত ধরে নদীতে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বেড়িয়েছেন। অবশেষে ২৯ জুন (বুধবার) ভোর সাড়ে ৫টায় ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ইউ সদস্য শমসের আলীর বাড়ির সামনের নদীতে ভাসতে দেখা যায় নিহতের লাশ। রায়নগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারক বিশ্বাস জানান, নিহতের স্ত্রী-সন্তান বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর গ্রহণ করে নিহত কেরামত আলীর লাশ হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ ব্যক্তি কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী গ্রামের মৃত মুনছুর গাজীর ছেলে কেরামত গাজী (৪০)। কেরামতের এই অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তার সংসার। দুটি ছেলে সন্তান নিয়ে দিশেহারা নিহতের স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।