নিজিস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে আব্দুর রহিম এবং সফুরা খাতুন নামে দুইজন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আব্দুল গফুর গাজী(৬৬) বাদী হয়ে ৮ জন সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে আসামীগন সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুল গফুর, বড় ভাই আব্দুর রহিম, ভাগ্নে আব্দুল্লাহ আল মামুনের বসতবাড়িতে আক্রমন করে এবং বসত ভিটা জবর দখলের চেষ্টা করে।
১নং আসামী নজরুল ইসলামের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আঘাত করলে আব্দুর রহিম গুরুতর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ২ নং আসামী ধারালো দা দিয়ে ছফুরা খাতুনের মাথায় আঘাত করে হাড়কাটা মারাত্মক জখম করে। বাদীর জামাতা রেজা গাজী, ভাগ্নে আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছেলের স্ত্রী আকলিমা খাতুন তাদেরকে উদ্ধার করতে গেলে দুর্বৃত্তরা লাঠি, রড, ইত্যাদি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে জখম করে। গুরুতর আহত আব্দুর রহিম এবং ছফুরা খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং আহত বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। ঘটনা চলাকালীন সময়ে আসামীরা স্বার্নালংঙ্কার লুট, নগদ অর্থ ছিনতাই, আসবাবপত্র ভাংচুর সহ বিভিন্ন ভাবে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাদী।
বাদীর ভাগ্নে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও আসামীরা অন্যায়ভাবে জমি দখলের চেষ্টা করে এবং মারপিট করে মারাতœকভাবে জখম করে। এখন তারা মিথ্যা মামলা দায়েরের পায়তারা করছে। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যতর চিকিৎসক ডা: শিরুজ্জামান বলেন, আতহ দুজনকে হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়েছে এবং বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে। আসামীদের দ্রæত গ্রেফতার পূর্বক আদালতে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।