Site icon suprovatsatkhira.com

মানবতার সেবার মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়

জি এম মাছুম বিল্লাহ : আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে মেলে ধরেছেন শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ আংশিক সাতক্ষীরা ৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। বিভিন্ন সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই মানুষটি নিজেকে ভিন্নভাবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করে আসছেন। বলাবাহুল্য বাংলাদেশ তিনিই একমাত্র সংসদ সদস্য যিনি সাধারণ শ্রমিকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাথায় মাটির ঝুড়ি নিয়ে রক্ষা করেছেন উপকূল রক্ষা বাঁধ। কাজ শেষে ক্ষুধার্ত স্বেচ্ছাশ্রমীদের সাথে মাটিতে বসে খেয়েছেন পান্তা ভাত। পথের ধারে পড়ে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীনদের পেটপুরে খাওয়ানোর পর দিয়েছেন নতুন পোশাক। রমজান ও ঈদে অসহায় গরীব এতিম শিশুদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক বিতরণ করতে দেখা গেছে। শ্যামনগর ও কালীগঞ্জে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে তিনি প্রতিনিয়তই যাওয়া-আসা করেন।

এতিমদের ভালোবাসার টানে অনেকবারই ইফতারি বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে দেখা গেছে মানবিক এমপি জগলুল হায়দারকে। বিভিন্ন এতিমখানায় পাঠিয়েছেন আম, কাঁঠাল, লিচু সহ অন্যান্য মৌসুমী ফল। শারদীয় দুর্গোৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় সহ দিয়েছেন শাড়ি-লুঙ্গি মিষ্টিসহ হতদরিদ্রের জন্য নগদ অর্থ। গভীর রাতে চালডাল মুরগি বাজারসহ রান্নার সামগ্রী তার নির্বাচনী এলাকার হতদরিদ্র, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কর্মক্ষম হয়ে পড়া মানুষ ও ভিক্ষুকদের বাড়িতে নিয়ে গেছেন নিজেই। অন্যান্য সংসদ সদস্যদের মতো তিনি এলাকা ছেড়ে বিলাসবহুল শহরে থাকেননি। পড়ে আছেন অজো পাড়া গাঁয়ে তার নির্বাচনী এলাকায়। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় যান তিনি এবং খোঁজখবর নেন এলাকার মানুষের সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে আরও ত্বরান্বিত করতে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে উঠান বৈঠক করতেও দেখা গেছে। গ্রামীণ জনপদের প্রান্তিক কৃষকের মাঠে চাষ করা, বীজ বপন, কীটনাশক প্রয়োগ ও সর্বশেষ ফসল কর্তন করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার যেমন অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন তিনি। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস শোনামাত্রই উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মিটিং সহ সার্বিক বিষয়ে তড়িৎ গতিশীল হয়ে ওঠেন তিনি।

উপকূলীয় এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসতে ও নিরাপদ আশ্রয়ে আসা মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সহ সার্বিক বিষয়ে লক্ষ্য রাখেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গভীর রাতে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় পৌঁছে মানুষের খোঁজ খবর নেওয়া। দুর্যোগের কারণে যেন বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত না হয় সেদিকে পরামর্শ দেওয়া। বিপর্যস্ত বেড়ীবাঁধ সংস্কারে দুর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাথায় মাটির ঝুড়ি নিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে এই মানবিক সাংসদকে। শ্যামনগর কালিগঞ্জ আংশিক আসনের আনাচে-কানাচে থাকা অসহায় গরীব মানুষকে খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়িতে সহযোগিতা নিয়ে উঠেছেন সকাল-বিকাল বা রাতে। কখনো কখনো আবার পর্যাপ্ত গরমে ভ্যান, রিকশা ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকদের তরমুজ, ডাব, ঠান্ডা পানি ও শরবত খাইয়ে তৃষ্ণার্ত মানুষদের তৃষ্ণা দূর করেছেন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা সহ পূজায় পুরোহিত ও ঈদে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের আত্মিক সহায়তা দিয়ে থাকেন। জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলাকালীন সময়ে এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যান বলে জানান ঢাকা থেকে সুন্দরবন ঘুরতে আসা যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ও জাগো নিউজের প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান নিপুণ ও জাগো নিউজ এর অ্যাক্টিং কান্ট্রি এডিটর ও আলোকিত বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাব এডিটর মোঃ আনোয়ার হোসেন। তারা আরো বলেন, বিভিন্ন সময় দেখেছি শ্যামনগরের একজন মানবিক সংসদ এস এম জগলুল হায়দারকে।

কখনো তৃষ্ণার্তদের ডাব, ক্ষুধার্তদের ভাত ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে। শুধু তাই নয় ঢাকাতে বিভিন্ন মানবিক কাজের সাথে যুক্ত থাকেন টিএসসির ফুটপাতে শীতার্ত মানুষের মাঝে কয়েকশ কম্বল বিতরণ করেন জগলুল হায়দার। এ সময় তিনি টিএসসির পাশে খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় ঘুমানো গরিব ও অসহায় মানুষের মুখে নিজ হাতে খাবারও তুলে দেন। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জগলুল হায়দার। দাদা কাশিমাড়ি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং নানা আমৃত্যু ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, তৎকালীন বৃহত্তর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ডাঃ আব্দুল জলিলের মেজো ছেলে। এলাকায় আগে থেকে মেজো ভাই নামেও পরিচিত। ১৯৬৩ সালের ২৯ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শুরু হয় হায়বাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। বাবা সিভিল সার্জন হওয়ায় এক জায়গায় কাটেনি শিক্ষাজীবন। শিক্ষা জীবনে তিনি নকিপুর হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ মোজাহার মেমোরিয়াল বিদ্যালয়। মাধ্যমিক জীবনের সর্বশেষ নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। কেশবপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচএসসিতে ভর্তি হন। পরবর্তীতে কালিগঞ্জ কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি ও স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version