জুন ২৯, ২০২২
পরকীয়ার জেরে বিকাশ ব্যবসায়ীর মৃত্যু: নারীসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া: দীর্ঘদিনের বিকাশ লেনদেনে মাধ্যমে গড়ে উঠা পরকীয়ার প্রেমের সমাপ্তি ঘটলো হত্যার মধ্যে দিয়ে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেড়টার দিকে হত্যার শিকার হয়েছে সাতক্ষীরা কলারোয়ার কাজিরহাট বাসস্ট্যান্ডের বিকাশ ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দীন (৫৫) এমন কথা সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে জানিয়েছেন নিহতের ছেলে বিকাশ ব্যবসায়ী গোলাম রসুল । বুধবার (২৯ জুন ভোর রাতে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নারীসহ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে নিয়েছে কলারোয়া থানা পুলিশ।
নিহত নিজামুদ্দিন (৫৫) কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়াল চাতর সরদার পাড়ার ফকির সরদারের ছেলে। আটককৃত আসামিরা হলেন, হেলাতলা ইউনিয়নের উত্তর দিগং গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনা খাতুন ও তার ছেলে সুমন হোসেন (২০)। আটককৃত নারীর ভাসুর আব্দুল মাজেদ (৫৫) ও তার ছেলে মোমিনুর রহমান (২১)। নিহত নিজামুদ্দিনের ছেলে বিকাশ ব্যবসায়ী গোলাম রসুল বলেন, বাবা বিকাশ ব্যবসায়ী রাতে বাড়িতে ফেরার সময় তার কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা থাকে। পরিকল্পিত ভাবে উত্তর দিগং গ্রামে তাকে ডেকে নিয়ে গভীর রাতে পিটিয়ে ও পানিতে চুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রæত তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ফাঁসি দাবি করে পুলিশ সুপার ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করেন। স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী গাজী বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে নিজাম উদ্দিনকে রাতে দল বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। তার পায়ে বুকে ও শীররের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। অনেক বড় সন্ত্রাসী বাহিনীর চক্র এই হত্যা কান্ডের সঙ্গে জড়িত। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সকল আসামিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সার্কেল অফিসার মীর আসাদুজ্জামান বলেন, বিকাশ ব্যবসায়ী নিজামুদ্দিনের সাথে পার্শ্ববর্তী উত্তর দিগং গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে বিকাশ লেনদেনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের গভীর সক্ষতা ছিল। ঘটনার রাতে লেনদেনের জন্য গভীর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফোন করে মহিলার বাড়িতে নিজামুদ্দিন গেলে। প্রবাসীর ছেলে সুমন (২০) ও সুমনের চাচাতো ভাই মোমিনুর (২১) ও চাচা আব্দুল মাজেদ (৫৫) চোর বলে ধাওয়া করলে দৌড়াতে না পেরে মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে যায় বিকাশ ব্যবসায়ী। বিকাশ ব্যবসায়ী পূর্বে একবার স্ট্রোক করেছিল যে কারণে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন ও ইনহেলার ব্যবহার করেন কিন্তু অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে সেখানে মৃত্যুবরণ করে। ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশের একটি টিম মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোসমাডাম এর জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি তবে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে এবং পোসমাডাম রিপোর্ট পেলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে । প্রবাসীর স্ত্রীসঙ্গ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এসব তথ্য জানা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। 8,581,570 total views, 9,340 views today |
|
|
|