জুন ২৫, ২০২২
দেবহাটায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় বাদীর পরিবার!
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেবহাটায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। এটনায় মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে আসামী পক্ষ নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন অসহায় পরিবারটি। এমনকি আসামী পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে ঘর ছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে ভূক্তভোগী পরিবারটির। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৮ জুন) ভোররাতে উপজেলার কামটা গ্রামের সাইফুল ইসলামের এক যুবক এ ধর্ষন চেষ্টা করে। আরো জানা যায়, ভিকটিম ওই কিশোরীর মা জেলেখা খাতুন অন্যের বাড়িতে কাজ করেন এবং বাবা রবিউল ইসলাম পেশায় একজন ইঞ্জিনভ্যান চালক। ঘটনার দিন ভোররাতে ভিকটিমকে বাড়িতে একা রেখে তার বাবা ইঞ্জিনভ্যান চালিয়ে পাটকেলঘাটায় এবং মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতে যান। একপর্যায়ে সাইফুল তাদের ঘরে প্রবেশ করে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এসময় ভিকটিম চিৎকার করলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালিয়ে যায় সাইফুল। এঘটনায় গত সোমবার (২০ জুন) ভিকটিমের মা জেলেখা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে অভিযুক্ত কামটা গ্রামের মন্টু গাজীর ছেলে সাইফুল ইসলামের (২৬) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (৪) (খ) ধারায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ করে ভিক্টিমের মা জেলেখা খাতুন জানান, স্থানীয় সাইফুল তার মেয়েকে একা বাড়িতে পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি পরবর্তীতে জানাজানি হলে দেবহাটা থানায় অভিযোগ করতে গেলে উল্টো হয়রানির শিকার হই আমরা। আরো জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ জমা না নেওয়ায় অসহায়ত্ব হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। এমন সময় থানার মূলগেটে পৌঁছালে তাদের হাত থেকে অভিযোগপত্র কেড়ে নিয়ে যায় এক পুলিশ সদস্য। পরবর্তীতে পুলিশ আমাদের বাড়িতে যেয়ে এবং থানায় ডেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু তদন্তে আমাদের উপর চড়াও হন প্রশাসন। পরে আমরা বিচার না পেয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। এঘটনার পর থেকে আসামী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী কিছু মানুষ আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলেছে। আমরা এতে বাড়ি ছাড়া হওয়ার মত বসবাস করছি। তাদের ভয়ে আমাদের মেয়েকে অন্যত্র রেখে আসতে বাধ্য হয়েছি। এতে আমার মেয়ের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা খুবই নিরুপায় ও অসহায় দিন যাপন করছি। আমরা গরীব হওয়ায় আসামীরা বিভিন্ন জায়গায় অর্থের বিনিময়ে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। আমরা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, মাননীয় বিচারক মহোদয় সুদৃষ্টি কামনা করছি। যাতে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারি এবং আমার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া অপরাধের সুষ্ঠ ও সঠিক বিচার চাই। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক না। থানায় বিষয়টি সমাধান হয়েছে।
7,191,091 total views, 547 views today |
|
|
|