নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে জমি জবরদখলের চেষ্টার অংশ হিসেবে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ইন্দ্রনগর গ্রামে।
সরেজমিন গেলে ইন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী (৭০), করিমুল্যাহ সরদার (৪৮), সাহাজুদ্দী গাজী (৬৫), আব্দুল মাজেদ শেখ (৪৮), মোনাজাত শেখ (৬৫)সহ ্আরও কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, ইন্দ্রনগর মৌজায় (জেএল নং-১৮৬) ওয়ারেশসূত্রে প্রাপ্ত হয়ে আরএস ২৬১ নং খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিক ফজর আলী সরদার আরএস ১০৮৫ দাগে ৮ শতক জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। ফজর আলী সরদরের মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে ও ১ মেয়ে ওয়রেশ হিসেবে উক্ত জমি ভাগদখল করছেন। কিন্তু ওই জমিতে পূর্ব পুরুষের কবর আছে এই অজুহাতে তাদের ভোগদখলীয় জমি জবরদখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মৃত ছফেদ আলী সরদারের ছেলে জহুর আলী সরদার গং।
তারা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মিমাংসা প্রস্তাব অমান্য করে চলেছেন এবং নানা ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সম্প্রতি ফজর আলী সরদারের দুই ছেলে জমিতে ঘেরাবেড়া দেয়ার পর ছফেদ আলী সরদারের ছেলে জহুর সরদার গং অবৈধভাবে ঘেরাবেড়া অপসারণের হুমকি দিচ্ছে। এক পর্যায়ে অবৈধভাবে ওই জমি দখল করবে এমন পরিকল্পনায় গত ২১ জুন বিজ্ঞ আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তারা। ওই মামলায় ৮ শতক জমি নিজেদের দখলে রয়েছে মর্মে জহুর আলী সরদার গং মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। মূলত: রাতের আধারে প্রকৃত জমি মালিকদের দখলচ্যুত করে জবরদখল করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও ফজর আলী সরদারের ওয়ারেশগণ। জবরদখলের চেষ্টার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে বলে জানান তারা। নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ভারতে অবস্থান করার কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। প্রতিপক্ষ মোকাম আলী সরদারের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৬) জানান, তার পিতা মোকাম আলী সরদারের প্রাপ্য অংশ জনৈক ধনিরুদ্দীন শেখের নিকট বিক্রি করা হয়েছে। যে জমি নিয়ে বিরোধ হচ্ছে তা ফজর আলী সরদারের ওয়ারেশ আমানুল্যাহ সরদার গং দখল ও জমির বাঁশ বিক্রি করেন বলে স্বীকার করেন তিনি।