নিজস্ব প্রতিনিধি; সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা গ্রামের গৃহবধু অনার্স পড়–য়া কলেজ ছাত্রী শাহীনা রাসুল হাঁসিকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত স্বামী মাসুদুর রহমান হাসানকে দুই দিনের রিমাÐ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক রাকিবুল ইসলাম তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানের পাঁচ দিনের আবেদন শুনানী শেষে দুই দিনের রিমাÐ মঞ্জুর করেন। ওই দিন বিকেলে তাকে আদালত থেকে কালিগঞ্জ থানায় নেয়া হয়।
আসামী মাসুদুর রহমান হাসান কালিগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলীর ছেলে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদুর রহমান হাসান তার স্ত্রী শাহীনা রাসুল হাঁসি হত্যাকাÐ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তবে হাঁসির প্রথম বর্ষের ফর্ম ফিলআপের টাকা দেওয়া নিয়ে বচসার একপর্যায়ে মারপিটের একপর্যায়ে বুকে আঘাত লেখে মারা গেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। স্ত্রীকে হত্যার হন্য সে একই দায়ী বলে জানায়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন সকালে সোনাতলা গ্রামের শ্বশুর বাড়ির গোসলখানায় গলায় ওড়না পেচিয়ে মাটিতে বসে থাকা অবস্থায় শাহিনা রাসুল হাঁসির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃতের ভাই ফয়সাল আহম্মেদ বাদি হয়ে ভগ্নিপতি মাসুদুর রহমান হাসান, তার বাবা ও মায়ের নামে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ হাসান ও মোবারক আলীকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরদিন বাদি পরিবর্তন করে মৃতের মা ফতেমাকে বাদি করিয়ে পূর্ব শত্রæতার বদলা নিতে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের অভিযোগে হাঁসিকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে এজাহার দায়ের করা হয়। পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য ফারজানা খাতুন ও তার স্বামী শওকত হোসেন বদলা নিতে মোবরক আলীর নাম বাদ দিয়ে মৃতের ননদ বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা ও চাঁচাই সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের সহকারী শিক্ষক মুর্শিদাকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবদের জন্য মাসুদুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমাÐ আবেদন করে।