Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনির তেঁতুলিয়া বাজার টু টেকা কাশিপুর রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী : দ্রæত সংস্কার দাবি

সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া বাজার থেকে টেকাকাশিপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ২ কি.মি. ইটের সোলিং চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন আশাশুনি থেকে পাইকগাছা, কয়রা ও খুলনায় যাতয়াত করে থাকে। এছাড়া খুলনা, তালা, কলারোয়া ও পাইকগাছা থেকে বাঁকা বাজার হয়ে সাধারণ মানুষ খাজরা, আনুলিয়া, প্রতাপনগর ও কয়রায় যাতায়াত করে।

সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা দিয়ে যখন গাড়ি চলাচল করে তখন ধুলোয় চারিদিকে অন্ধকার দেখা যায় আবার একটু বৃষ্টি নামলেই গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হলেও যথাযথ সংস্কার কাজ না করায় ভোগান্তির অবসান ঘটেনি।
তেঁতুলিয়া ঋষিপাড়ার সামনে, মোকামখালি গ্রামের কামাল সরদারের বাড়ির সামনে ও বাবু সরদারের বাড়ির সামনে এবং মোকামখালি গ্রামের ফটিক গাজীর বাড়ির সামনে ও টিকা রামচন্দ্রপুর গ্রামের সিরাজুল সানার বাড়ির সামনে সহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

কাদাকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আসিফ ইকবাল রিপন জানান, সাতক্ষীরা জেলা এবং খুলনা জেলার দক্ষিনাঞ্চল তালা উপজেলা ও পাইকগাছা উপজেলার বাঁকা বাজার ভায়া দরগাহপুর টু তেঁতুলিয়ার মানুষের যাতায়াতের এটি একমাত্র সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক মেরামত না হওয়ায় মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। তিনি আরো বলেন, এই সড়কে ৩ টা ¯øুইগেট রয়েছে গেটের উপরের রাস্তা অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ এছাড়া এই ২কিঃ মিঃ সড়কের পাশে ৮টা মসজিদ রয়েছে। মসজিদের মুসল্লিদের নামাজ পড়তে যাতায়াতের খুবই অসুবিধা ভোগ করছে। এই রাস্তায় মিত্র তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টেকা কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাত মোড়ক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যাতায়াতে কোমলমতি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। তিনি সড়কটি পুন:সংস্কার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
এলাকার সচেতন মহলসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সড়কটি দ্রæত সংস্কারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও পথচারী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version