Site icon suprovatsatkhira.com

আকস্মিক ঘুর্ণিঝড়ে উড়ে গেলো আশাশুনি খাজরা দাখিল মাদ্রসার টিনসেড

নিজস্ব প্রতিনিধি : আকস্মিক ঘুর্নিঝড়ে উড়ে গেছে আশাশুনির খাজরা হাকিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৫ কক্ষের টিনসেড। খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীদের। অবিলম্বে সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকবৃন্দ। রবিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানাগেছে, ১৯৮৫ সালে স্থাপিত মাদরাসার ৩টি আধাপাকা বিল্ডিং এর ১০ টি কক্ষে (অফিস সহ) ক্লাস পরিচালিত হয়ে আসছে। চার শতাধিক ছাত্রছাত্রী ও ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে মাদ্রাসা চললেও অবকাঠামোগত সমস্যায় জ্বর্জরিত প্রতিষ্ঠানটি। সরকারি সহায়তা বা অনুদান না পাওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা নিজেদের অর্থে কক্ষ সংস্কার, চেয়ার- টেবিল ও আসবাবপত্র যোগান দিয়ে আসছেন।

এর আগে ঘুর্নিঝড় আম্ফানের তাÐবে মাদরাসার ৫টি কক্ষ উড়ে গেলে শিক্ষক- কর্মচারীরা নিজেদের অর্থে কক্ষগুলি মেরামত করেছিলেন। রবিবার রাতে আকস্মিক ঝড়ে ৫ টি কক্ষের টিনসেড আবারও উড়ে যাওয়ায় চলমান ষান্মাসিক পরীক্ষা নিতে হচ্ছে খোলা কক্ষে।
সোমবার (২০ জুন) পরীক্ষা চলাকালীন বৃষ্টি শুরু হলে পরীক্ষার্থীরা ছুটে ভাল থাকা কক্ষের বারান্দায় এসে দাড়িয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি না থামায় বাকী থাকা ১ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় পরীক্ষা না দিয়েই তারা চলে গেছে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু রায়হান জানান- পরীক্ষা নেওয়ার মত পরিবেশ তৈরি করতে আপদকালীন সময়ে জরুরী সহায়তার মাধ্যমে চালটি মেরামত করা খুবই জরুরী। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনও স্যারকে অবহিত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান বলেন- ঘটনাটি শুনেছি। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষের ছবিসহ একটি লিখিত আবেদন করতে বলেছি। অবহেলিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠনটির ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মানের ব্যবস্থা নিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version