জুন ১৫, ২০২২
সাতক্ষীরা পৌর কাউন্সিলার আইনুল ইসলাম নান্টা গ্রেফতার
![]() ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ জুন) গভীর রাতে পুরাতন সাতক্ষীরা¯’ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, একটি চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভবন নির্মাণে পৌর আইন লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন পৌরসভার রাজার বাগান পূর্বপাড়া গ্রামবাসী। মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে পৌর কাউন্সিলর নান্টা পৌরসভার প্যাডে ওই শালিসনামা লিখে দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর করিয়ে প্রথম পক্ষ ইমাদুল ইসলামের কাছে তার ফার্মেসিতে নিয়ে যান। এসময় ইমাদুল ইসলাম শালিসনামায় স্বাক্ষর করবেন না মর্মে হাকিয়ে দেন এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ক্ষমতা থাকলে কিছু করে নিতে বলেন। এসময় জনসম্মুখে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে অপমান করায় পৌর কাউন্সিলর নান্টা ক্ষেপে যান এবং তাদের আহবানেই শালিস ডাকার কথা উ”চারণ করে ইমাদুলের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। মামলা সম্পর্কে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ^জিৎ অধিকারী জানান, পুরাতন সাতক্ষীরার হাটখোলা মোড়ে ইমাদুল ইসলামের ওষুদের ফার্মেসিতে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নান্টা। চাঁদা না পেয়ে মঙ্গলবার রাতে ফার্মেসিতে হামলা চালিয়ে ইমাদুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে নান্টাসহ তার ক্যাডার বাহিনী। রাতেই ইমাদুল ইসলামের ছেলে অহিদুজ্জামান নান্টাসহ ৭জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করে। চাঁদাবাজির সেই মামলায় রাতেই নান্টাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে, বিবাদের দ্বিতীয়পক্ষ ও রাজার বাগান পূর্বপাড়ার শফিকুল ইসলাম বলেন, পৌর আইন লঙ্ঘন ও আমাদের জমির উপরে ছাদের কার্নিস বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে বাধা দেওয়ায় ইমাদুল সরদার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে আসছিল। আমরা উপায়ান্তর না পেয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পৌরসভা তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলে। কিš‘ সে নির্দেশনাও না মেনে কাজ অব্যাহত রাখে। স্থানীয় এলাকাবাসী এবিষয়ে প্রতিবাদ করলে ইমাদুল সরদার একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সদর থানায় আমার পিতা এবং আমাকেসহ ৫ জন অসহায় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় পুলিশ আমাকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি আসলে ইমাদুল আবারো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। এমনকি বার বার আমারসহ গ্রামবাসীর বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করতো। মামলার আগে পুরাতন সাতক্ষীরা পুলিশ ফাড়ি ও সদর থানা কর্তৃপক্ষ দু’পক্ষকে নিয়ে দুবার বসাবসির জন্য আহবান জানিয়েছিল। কিš‘ তখন প্রতিবারই আমরা হাজির হলেও ইমাদুল ইসলামের পক্ষ হাজির হতো না। পুলিশের আহবানে থানায় বসাবসির দিন হাজির না হলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে আমাদের এলাকায় এসে বার বার শাসিয়ে যেত। এমন পরি¯ি’তিতে আমরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে পুরো ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করি ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে মানববন্ধন করি। এর দু’একদিন পরেই ইমাদুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে মীমাংসার জন্য বসাবসির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে অনেক মানুষের উপ¯ি’তিতে শালিস হয়েছিল। মঙ্গলবার আমরা শালিস নামায় স্বাক্ষরও করেছি। রাতে কাউন্সিলর নান্টা ওদের দোকানে স্বাক্ষর করতে গেলে তারা স্বাক্ষর না করে উল্টো গালিগালাজ করে। 9,115,287 total views, 2,251 views today |
|
|
|