গাজী আল ইমরান, নিজস্ব প্রতিনিধি. সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলার সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা।
শনিবার (১১ জুন) বিকাল ৫টায় শ্যামনগর থানা মসজিদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। এতে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো মুসলিম তৌহিদী জনতা অংশগ্রহণ করেন।
পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে জে.সি কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয় এবং সেখানে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে মিছিল ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহŸায়ক হাফেজ মাওলানা মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও হাফেজ মাওলানা এ টি এম মিসবাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আব্দুল খালেক, শ্রীফলকাটি মাদ্রাসার মুহতামিম জিয়াউর রহমান ফারুকী, গুমানতলী মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুহাদ্দিস খাইরুল বাশার, কাশিমাড়ী আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা খলিলুর রহমান, জামিয়া হাম্মাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মাউসুফ সিদ্দিকী, মোহাম্মদপুর কুলতলী মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি হাফিজুর রহমান প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের নেতা নুপুর শর্মা ও নাভিন কুমার জিন্দাল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটুক্তি করেছে। তাদের এমন কর্মকান্ডে সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা ধর্মীও শান্তি বিনষ্টের দায়ে ভারতের কুলাঙ্গার নেতাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
বক্তারা আরো বলেন, ধর্মীয় অপবাদ ছড়িয়ে ভারতীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। তাদের এমন কর্মকান্ড গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের স্পষ্ট পায়তারা। এছাড়া তারা সম্প্রীতির বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠিকে উসকে দিয়ে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন নুপুর শর্মা। পরে একই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দেন নাভিন কুমার জিন্দাল। এ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।