জুন ২০, ২০২২
শ্যামনগরের ঝাঁপা ব্রজবিহারী ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকেট কমিটি গঠনের মাধ্যমে অগ্রিম নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রতিকার চেয়ে দুদক চেয়ারম্যোনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট: পকেট কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঝাঁপা ব্রজবিহারী ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রজেন্দ্রনাথ রপ্তানের বিরুদ্ধে দুর্ণীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার ও রবিবার ডাকযোগে এসব অভিযোগ পাঠান ঝাঁপা গ্রামের তরুন কান্তি মÐল, গৌতম মৃধা ও সনজিৎ মÐল।
অভিযোগপত্রে উলে¬খ করা হয়েছে যে, শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ঝাঁপা ব্রজবিহারী ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক ও পরিচ্ছনাতা কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি নিয়োগ বোর্ডে চুড়ান্ত প্রার্থী বাছাই করার কথা থাকলেও ২৫ জানুয়ারি শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ তেজারত তদকালিন সভাপতি তরুন কান্তি মÐলকে তার অফিসে ডেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিবেদিতা বালা মÐলকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে একটি সমঝোতা পত্রে সই করিয়ে নেন। পরবর্তীতে ওই নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হয়ে য্ওায়ার পর নবগঠিত আহবায়ক কমিটি আবারো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠণের লক্ষ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর নির্বাচন তপশীল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে অনিয়ম ও দূর্ণীতির আশ্রয় নেওয়া হলে অবিভাবক হিসেবে দেবব্রত মÐল বাদি হয়ে শ্যামনগর সহকারি জজ আদালতে দেঃ ৪৩৪/২১ নং মামলা করেন। আদালত ১১ জন বিবাদীর মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ আটজনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাণোর নির্দেশ দেন। প্রধান শিক্ষক কারণ দর্শাণোর জবাব দেওয়াসহ তিনি নির্বাচন না করানোর পক্ষে বিদ্যালয়ের প্যাডে লিখিত দেন। আগামি ২৭ আগষ্ট মামলার ধার্য দিন।
নতুন নির্বাচিত কমিটি সহকারি প্রধান শিক্ষক, একজন আয়া, একজন পরিচ্ছনতা কর্মী, নৈশ প্রহরী, ল্যাব সহকারি, অফিস সহকারির সহায়কসহ ছয়টি পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক একটি পদের বিপরীতে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন। জ্যোর্তিময় মÐলকে সহকারি প্রধান শিক্ষক করার শর্তে মোটা অংকের টাকা নেওয়া ছাড়াও পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে নিয়োগের লক্ষে দেবব্রত মÐলের স্ত্রী প্রমিলা মÐলের কাছ থেকে দু’ দফায় দেড় লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিজের মত করতে এলাকায় মাইকিং, শিক্ষার্থীদের সাথে ভোটার তালিকা উপস্থাপনসহ নির্বাচন সংক্রান্ত সরকারি বিধিমালা উপক্ষো করে গোপনে প্রধান শিক্ষকের কাছের লোক বলে পরিচিত নিরঞ্জন কুমার রপ্তানকে দাতা সদস্য নির্বাচিত করার লক্ষ্যে তার কাছ থেকে ও দীলিপ কুমার মÐলের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। হরষিত মÐলের স্ত্রী তাপসী মÐলকে চাকুরি দেওয়ার নামে নিয়েছেন তিন লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক স্কুলের নামে খোলা রুপালী ব্যাংকের নবেকী শাখার চলতি হিসাব ১৯৫কে নিজের মত করে ব্যবহার করেছেন। রেজুলেশন ব্যতীত বিদ্যালয়ের টাকা ব্যাংক থেকে তুলে তছরুপের অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 8,604,157 total views, 12,036 views today |
|
|
|