ডেস্ক রিপোর্ট: নিজের ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে ১৫ কিলোমিটার দুরে উপজেলার উপকূলীয় গাবুরা ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুর একটায় মেয়েটি সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহারের কাছে ২২ ধারায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করে জবানবন্দি দিয়েছে। বিকেলে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ শাহারিন আক্তার তার ডাক্তারি পরীক্ষা করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত মেয়েটির বাবা একই দিনে সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম মো: সালাহউদ্দিনের কাছে মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গত ২৮ ও ৩১ মে ভোরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর জনা জানি হলে ক্ষুব্ধ জনতা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেয়ার পর গত বুধবার দুপুরে পুলিশ ধর্ষক বাবাকে আটক করে।
গাবুরা ইউনিয়নের একটি গ্রামের ধর্ষিত মেয়েটির মা জানান, আইলা পরবর্তী অভাবের তাড়নায় তার স্বামী জেলার বাইরে বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করতো। তাই ছোট বেলা থেকে মেয়েটাকে বাপের বাড়ি যশোরের নাভারনে পড়াশুনার জন্য রেখে আসেন। মেয়েটি নাভারনের হাড়িখালি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় এক বছর আগে যশোরের চাঁচড়া এলাকার ভ্যান চালক সোহাগের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েকে নির্যাতন করা হয় এমন খবরের ভিত্তিতে তিন মাস আগে গাবুরার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। একপর্যায়ে সোহগকে তালাক দেয় মেয়ে।
ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, গত ২৮ মে ভোরে মেয়েটির ঘরে ঢুকে নিজের সন্তানকে ধর্ষণ করে বাবা। প্রথম দিন তাকে জানানো না হলেও ৩১ মে আবারো একই সময়ে ধর্ষণ করায় তাকে বিষয়টি জানায় মেয়ে। একপর্যায়ে তিনি তার স্বজনদের জানালে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক অশোক কুমার তালুকদার জানান, এ ঘটনায় ওই মেয়ের মা বাদি হয়ে তার স্বামীর নাম উলে¬খ করে বুধবার ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় থানায় মামলা (জিআর-২০৬/২২ শ্যামনগর) দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের কাছে এক প্রশ্নের উত্তরে অভিযুক্ত বাবা অকপটে নিজেরে মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলেন তিনি ভুল করেছেন।