জুন ১৬, ২০২২
নওয়াবেঁকীতে নতুন ফেরিঘাটের রাস্থা প্রসারে উচ্ছেদ অভিজান
আটুলিয়া (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : বহু দিনের স্বপ্ন পুরন হতে চলেছে শ্যামনগরের উপকূলের জনপদের বেশিরভাগ মানুষের। এর ভিতরে অবহেলিত দুইটা দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর আর গাবুরা ইউনিয়বাসী এবার সড়কপথে উপজেলা, জেলা সহরের গন্ডি পেরিয়ে দূরপাল্লার পথে যাতায়াতে খুব শীঘ্রই নতুন এক অধ্যায়ে শুভ সূচনা হতে চলেছে। শ্যামনগরের উপজেলার অন্তর্গত নওয়াবেঁকী বাজারের খোলপেটুয়া নদীর কিনারায় পুরাতন খেয়াঘাটের পাসেই নির্মিত হচ্ছে ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাট করার একটা উদ্দেশ্য শ্যামনগর উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়ন তার থেকে ২টি দ্বীপ ইউনিয়ন সড়ক পথে বিছিন্ন থাকার জন্য। এই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের যোগাযোগ ব্যাবস্থা অনেক নাজুক থাকায় তাদের জন্য ফেরি চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ফেরিঘাটের রাস্থায় চলাচলের জন্য পরিমাণ মতো জায়গা না থাকায় ঘাটের সামনে থেকে শুরু করে নওয়াবেঁকী বাস স্টান্ডের রাস্থার দক্ষিন পাশ জুড়ে সরকারী জাইগা ফেরিঘাট করার স্বার্থে অনেক আগেই দোকার ঘর সহ ব্যাবসায় প্রতিষ্টান গুলো অপসারন করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ দোকান ঘর গুলো অপসারন করা হয়নী। ইতিমদ্ধে ফেরির পল্টন সহ ঘাটে ফেরি চলে এসেছে, তবে ফেরিতে যানবহন চলাচলের জায়গায় দোকানঘর সহ বিভিন্ন স্থাপনা থাকায় ইতিমদ্ধে সেগুলো উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। যে কারনে (১৬ জুন) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান এই উচ্ছেদ অভিজান পরিচালনা করেন শ্যামনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার আক্তার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলার চেয়ারম্যান এস,এম. আতাউল হক দোলন, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম ও আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সালেহ বাবু সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ও সড়ক জনপথ বিভাগ সহ পল্লী বিদ্যুৎ এর সংশ্লিষ্ট ব্যেক্তিরা। এদিকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভাঙ্গার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম.আতাউল হক দোলন বলেন যে তাদের অনেক বার স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা আমাদের কথা কর্ণপাত না করে যে জার মতন দিনের পর দিন ব্যাবস্যায়ী প্রতিষ্টান পরিচালনা করেছিল, তাই আজ বাধ্য হয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভাঙতে হচ্ছে। তিনি বলেন যাদের ঘর ভাঙ্গা হচ্ছে তাদের একটি তালিকা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো আমাদের বিশ্বাস তিনি তাদের কোনো একটা ব্যাবস্থা করবেন। অপর দিকে ঐ স্থানে ব্যাবসা পরিচালনা কারীরা বলেন আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে গেলো, আমার আমাদের জীবনের সকল অর্জন টুকু এখানে বিনিয়োগ করেছি আমাদের আর জীবিকা নির্বাহ করার মতো কোন পথ থাকলো না। এই উচ্ছেদ অভিজানের সময় মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের স্টার ফিশ, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ইউ কে মন্ডল, হুমায়ুন কবি ফানি কালার ষ্টুডিও, মোঃ হযরত আলীর গাজী ফিশ, প্রাক্তন মেম্বার আলহাজ্ব আব্দুস সালাম এর হাজী এন্টারপ্রাইজ, ফল আকবরের দোকান, আসাদুজ্জামান এর ঔষধ ঘর এবং ছোট বড় অনেক দোকান ঘর সহ প্রাই শতাধিক দোকান ঘর ছাড়াও স্টান্ডের যাত্রী ছাউনী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাঁচিল এই ভাংচুরের ভিতরে পড়ে ভাঙা পড়েছে এই ফেরি ঘাট নির্মান করাকে কেন্দ্র করে। 8,604,933 total views, 12,812 views today |
|
|
|