Site icon suprovatsatkhira.com

সাড়া মেলেনি কলারোয়ায় ভুমি সেবা সপ্তাহ’র

জয়নগর (কলারোয়া) প্রতিনিধি : কলারোয়ায় ভুমি সেবা সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধনের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও তেমন কোনো সাড়া জমেনি। ফলে কলারোয়া পৌর সদরসহ সাতটি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন। তবে উপজেলা ভুমি অফিসের এক কর্তার বিরুদ্ধে ভুমি সেবা বুথের মধ্যে প্রকাশ্যে ধুমপানরত অবস্থায় ঘোরাঘুরির নজর কেড়েছে রিতীমতো।

উপজেলা ভুমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে কলারোয়া উপজেলা মিলনায়তনে ভুমি সেবা সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস। যা আগামী ২৫ মে পর্যন্ত চলবে। উদ্বোধনকালে কয়েকটি ব্যানারে ভুমি সেবাকালীন সময়ে ভুমি মালিকদের অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়,খতিয়ান (পর্চা),ভূমি সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের লক্ষ্যে রেজিষ্ট্রেশন, জমির ম্যাপ,ভূমি বিষয়ক পরামর্শ,ই-নামজারি,জলমহলের আবেদন ও উত্তরাধিকার অ্যাপ এই নয় ধরনের সেবা ছোড়াও অন্যান্য তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করা হয় মর্মে লিখে সাতটি সেবা বুথে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়।

শনিবার ২২ মে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভুমি সেবা সপ্তাহ-২০২২ এর হালনাগাদ খবর জানতে কলারোয়া প্রেসক্লাব ও কলারোয়া রিপোটার্স ক্লাবের একদল সাংবাদিক সরেজমিনে গেলে সেখানে দেখা যায়, উপজেলার জয়নগর,জালালাবাদ,বামনখালী,চন্দনপুর,হেলাতলা,সোনাবাড়ীয়া ও কলারোয়া পৌর সদরসহ ৭টি ভুমি অফিসের জন্য আলাদ আলাদা ৭টি সেবা বুথ করা । তবে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন ভুমি সহকারী (নায়েব) কর্মকর্তা রেজাউল করিম ছাড়া সবাই অনুপস্থিত ছিলেন। কেন তারা উপস্থিত নেই জানতে চাইলে, এ সময় দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কোনো সদুত্তর মেলেনি। তবে ন্যাক্কার জনক ঘটনা হলো ভুমি সপ্তাহ চলাকানীন সময়ে উপজেলা মিলনায়তনে অবস্থিত সাতটি সেবা বুথের সামনে দিয়ে কলারোয়া সহঃকমিশনার (ভূমি) অফিসের নাজির মোঃ সাইফুদ্দীনর প্রকাশ্যে ধুমপানরত অবস্থায় ঘোরাঘুরি করা।

যা রিতীমতো সাংবাদিকসহ সেবা নিতে আসা ভূমি মালিকদো নজর কেড়েছে। তছাড়া চলতি ভূমি সেবা সপ্তাহে কতজন ভুমি মালিক সেবা পেয়েছেন তা জানতে চাইলে সেখানে থাকা কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারি জানাতে পারেননি। উপজেলার মানিকনগর থেকে সেবা নিতে আসা ভুমি মালিক আব্দুর রহমান অভিযোগ আকারে বলেন, তিনি ভুমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে পর্চা ও ম্যাপের আবেদন করতে গেলে তাকে বলা হয় এসব আবেদন এখানে করা যায় না। অথচ ওই দুটিসহ নয় প্রকারের সেবা দেওয়া হয় বলে ব্যানারে লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া সেবা নিতে আসা কলারোয়া পৌর সদরের মুরারীকাটি গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে ইয়ার আলী মন্ডল(৭০) বলেন, জমির নাম পত্তন করতে শুনি,১হাজার ১শ ৭০ টাকা লাগে। কিন্তু আমার কাজ থেকে কিছুদিন আগে কলারোয়া ভুমি অফিসের এক কর্তা নাম পত্তনের জন্য ৪ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছে।

শনিবার আমি ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে সেখানে যেয়ে দেখি তিনি (দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা) পায়চারি করে ধুমপান করছিলেন। উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির মোঃ সাইফুদ্দীনের নিকট সেবা বুথে তার ধুমপান করার বিষয়টি জানতে চাইলে,তিনি সত্যতা ¯ী^কার করে বলেন, ভাই ভুল করে ফেলেছি।ওটা আমার অন্যায় হয়েছে।আমি আপনাদের ভাই হিসেবে ক্ষমা চাচ্ছি। সত্যি কথা কি ভাই যদি মিষ্টি টিষ্টি খাওয়াতে হয় তাও আমি দিবানে। বিষয়টি পত্রিকায় টত্রিকায় দিয়েননা।কারণ আমি চাকরি করি সমস্যা টমস্যা হবে। আপনার হাত দুটো ধরি লেখার দরকার নেই।

দায়িত্বপ্রাপ্ত কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাসকে সেবা বুথের সব বিষয়ে জানিয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান,সব বিষয়ে মোবাইলে বক্তব্য দেওয়া যাবেনা। বক্তব্য নিতে হলে আপনাকে অফিসে আসতে হবে। তবে এক পর্যায় তিনি জানান একটু পরে খেলা আছে। আমাকে সেখানে যেতে হবে। তবে আমি ব্যস্ত থাকার কারণে ভালো দেগভাল করতে পারিনি। আপনার অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version