Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জে কৌশলে শৌচাগারে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করত ধর্মীয় শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভাড়া বাসায় অবৈধভাবে হেফজখানা খুলে কোমলমতি এক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন ধরে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ধর্মীয় আবু সাদ নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি থানাকে অবহিত করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সস্ত্রীক আত্মগোপন করেছে ওই শিক্ষক। শিক্ষক আবু সাদ শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের জাহাজঘাটা এলাকার ফজলুল হকের ছেলে ও কালিগঞ্জের তারালী ইউনিয়নের বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা জানান,১১ বছর বয়সী ছেলেকে তিনি বরেয়া গ্রামের ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কামাল হোসেনের ভাড়াটিয়া ও বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক আবু সাদ-এর হেফজখানায় এক হাজার টাকা মাসিক বেতনে পড়াশুনা করার জন্য ভর্তি করান।

সেখানে বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আরো দুই শিক্ষকের ছেলে পড়াশুনা করত। পরবর্তীতে ওই শিক্ষক জাফরপুর গ্রামের চৌকিদার আব্দুল গফুর সরদারের বাড়ির দো’তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে হেফজখানা পরিচালনা করে আসছিল মাসিক তিন হাজার টাকায়। হেফজখানায় ভর্তি করার কিছুদিন যেতে না যেতেই তার ছেলেকে গভীর রাতে কৌশলে শৌচাগারে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করতো শিক্ষক আবু সাদ। যৌন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বুধবার বলাৎকারের বিষয়টি তাকে ও পরিবারের সদস্যদের অবহিত করে। বিষয়টি ভিকটিমের পরিবার বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল কবির ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোটকে অবহিত করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিস্তারিত জানার পর উপপরিদর্শক আবু সাঈদকে ঘটনাস্থলে পাঠান।

তবে বিষয়টি বেগতিক দেখে ওই ধর্মীয় শিক্ষক কৌশলে পালিয়ে যান। বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বৈদ্য জানান, বিষয়টি তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। তবে কেউ যদি ওই শিক্ষক আবু সাদ এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আনেন সেক্ষেত্রে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই ঘটনার সত্যতা যাঁচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। তারালী ইউপি চেয়ারম্যান ও কালিগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট জানান, বৃহস্পতিবার সকালে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ভিকটিম ও তার বাবাকে থানায় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, এজাহার পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে অভিযুক্ত ধর্মীয় শিক্ষক আবু সাদ-এর সঙ্গে শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোনে কথা হলে, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ষড়যন্ত্র বলে এড়িয়ে যান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version