Site icon suprovatsatkhira.com

কাদাকাটিতে ৩৫০ পরিবার পাচ্ছে সুপেয় পানি

নিজস্ব প্রতিনিধি : কোটি টাকা ব্যয়ে পানির প্লান্ট স্থাপন করে সুপেয় পানি সংকটে থাকা ৩৫০ পরিবারের সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে আশাশুনি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
কাদাকাটি ইউনিয়নের অনেক এলাকায় আর্সেনিক মুক্ত, লবণাক্ততা মুক্ত সুপেয় পানির তীব্র সংকট রয়েছে। নিজ পয়সা খরচ করে এলাকার মানুষ রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, ট্রিটমেন্ট পানির প্লান্টসহ নানা স্থান থেকে পানি সংগ্রহ করে থাকে। এরমধ্যে কাদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন প্রায় ৩৫০ টি দীর্ঘদিন ধরে সুপেয় পানির অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছিলেন।

সুপেয় পানির কষ্টে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন তেতুলিয়া, মিত্র তেতুলিয়া, ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া ও টেকা কাশিপুর গ্রামের মানুষের মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর । জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, জিওবি ও ইউনিসেফের অর্থায়নে পানি সরবরাহ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় কাদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পানির প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্লান্ট থেকে ইতিমধ্যে সুপেয় পানি উৎপাদন কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। পরিষদ চত্বর থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রামগুলোর নির্বাচিত স্থানে ২৭টি পয়েন্টে ট্যাপ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ট্যাপ থেকে প্রতিদিন ৩৫০ পরিবারকে চুক্তিমত নির্দিষ্ট পরিমান পানি সরবরাহ করা হয়। এসব ট্যাপ থেকে প্রতিটি পরিবার তাদের জন সংখ্যার ভিত্তিতে মাসে ১০০ টাকা ব্যয়ে মাথা পিছু ১০ লিটার করে পানি গ্রহণ করবে।

ইউনিয়ন পরিষদ ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট কমিটির পরিচালনায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ কমিটি নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ ও নির্দেশনা মত প্লান্ট পরিচালনা করবে। প্লান্ট সংরক্ষণ ও আয় ব্যয়ের হিসাব নিরুপণ সহ সুষ্ঠু ভাবে প্লান্ট পরিচালনা করতে ম্যানেজমেন্ট কমিটি যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বলেন, উপজেলার কাদাকাটিতে ৩৫০ পরিবারের সুপেয় পানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পানির প্লান্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় একমাস ধরে সংশ্লিষ্ট ৪ গ্রামের মানুষের নিকটবর্তী স্থান থেকে পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। সল্প ব্যয়ে, সহজে ও হাতের কাছে পানি পেয়ে এলাকার মানুষ খুবই খুশী। প্লান্টটি দীর্ঘস্থায়ী করতে সেখানে শক্তিশালী ম্যানেজমেন্ট কমিটি করা হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version