Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনির প্রতাপনগরে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দু’বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা

সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনির প্রতাপনগরে প্রলংকরী ঘুর্নিঝড় আম্ফানের দু’বছর পূর্ত্তিতে মানুষের কষ্টকর জীবন যাপন, অসহনীয় পরিবেশ ও দুর্গতি লাঘবে করনীয়তা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে নাগরিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাঁচাও উপকূল’ এর উদ্যোগে তালতলা বাজারের চৌরাস্তায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী, অধ্যক্ষ মাও. মাসুম বিল্লাহ, প্রভাষক মাও. শফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক নূরী আযম সিদ্দিকী প্রমুখ। বক্তারা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের স্মৃতি চারণ করে বলেন, আম্ফানের তান্ডবে প্রতাপনগর, শ্রীউলা, পদ্মপুকুর, গাবুরা, কয়রা, বেদকাশি ইউনিয়নসহ উপকূলের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। হাজারো পরিবার ঝড়ের সীমাহীন সেই ক্ষতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছে। আম্ফান বিধ্বস্ত এ জনপদে এখনে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও সুপেয় পানির তীব্র হাহাকার রয়েছে। নাজুক ও সংস্কারের অপেক্ষায় থাকা বিভিন্ন বেড়িবাঁধে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে দ্রæত মাটি দিয়ে উঁচু করা না হলে বর্ষা মৌসুমে আবারও ভাঙ্গনের সৃষ্টি হতে পারে। শঙ্কিত এলাকাবাসী সাতক্ষীরা জেলাকে দুর্যোগ প্রবন এলাকা ঘোষণা করার দাবী জানান।

প্রযুক্তি নির্ভর, স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা, লবনাক্ততা হ্রাসে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, মরুভূমিতে রূপনেয়া উপকূলের এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বনায়ন ও সবুজায়ন করতে দীর্ঘমেয়াদী রূপরেখা গ্রহণ করা, নিয়মিত খননের মাধ্যমে নদী শাসন, দূর্যোগের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন সংকট ঠেকাতে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সাতক্ষীরা ও খুলনার উপকূলীয় উপজেলাগুলো নিয়ে আলাদা অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা করা এবং উৎপাদনমূখী কলকারখানা স্থাপন করা, পানিউন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে কঠোর জবাব দিহিতার আওতায় আনার দাবি উত্থাপন করেন বক্তাগণ।

সভায় বাঁচাও উপকূলের সমন্বয়ক সাংবাদিক মাছুম বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় এবং সাংবাদিক আবু ছালেহ ও সাইদুল ইসলামের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন, আব্দুস সবুর, মাষ্টার আলমগীর হোসেন, আতিয়ার রহমানসহ ভাঙ্গন কবলিত ভূক্তভোগী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version