সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনিতে আদালত অবমাননা করে দুই ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমি অবৈধ দখলে নিয়ে ঘর নির্মাণে বাঁধা প্রদান করে যাতায়াতের পথ ঘিরে দিয়েছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে বুধহাটা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে।
মামালার বাদী নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত তমেজ উদ্দীন সরদারের ছেলে আব্দুল হাকিম জানান- নওয়াপাড়া মৌজায়, জে এল- ৫৭, ডিএস ১১ নং খতিয়ান, এসএ ২০ খতিয়ানের ৭১০, ৭০৯, ৭১৪সহ আরো ৫ দাগে ৬৭ শতক জমির মধ্যে নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত ফাকের সরদারের ছেলে আয়জুদ্দীন সরদার, আবুল হোসেন সরদার, নাবালিকা মেয়ের পক্ষে মা আন্না বিবি ১৯/০২/২০০৪ ইং তারিখে ৮১৩ ও ২২/০৩/২০০৪ তারিখে ১৩২৮নং দলিল মূলে ৬ শতক জমি এবং আমার ভাই আলী হোসেন একই দাগ খতিয়ানে ১৫/৫/১৯৯১ ইং তারিখে ২০৭৫ নং দলিলে নওয়াপাড়া গ্রামের জহির উদ্দীন গাজীর ছেলে জালাল গাজী, আব্দুর রউফ গাজী নাবালিকা মেয়ে রেবেকা খাতুনের পক্ষে মা বাচাখুকি ৭৯ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ১২ শতক জমি খরিদ করেন।
জমি ক্রয়ের পর থেকে আমরা দুই ভাই শান্তিপূর্ণ দখলে আছি। জমি ক্রয়ের পর আমার নামে রেকর্ড প্রস্তুত না হওয়ায় সাতক্ষীরার আশাশুনি সহকারি জজ আদালতে গত ১৭/২/২০২২ ইং তারিখে ৪০/২২ নং একটি রেকর্ড সংশোধনী মামলা রুজু করি। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। তবে আলী হোসেনের নামে সমুদয় সম্পত্তির রেকর্ড প্রস্তুত হয়েছে।
কিন্তু আমার অপর ভ্রাতা বেউলা ওসমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক মাও. আব্দুল মাজেদ তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে সম্পুর্ণ গায়ের জোরে অবৈধভাবে গত ২ এপ্রিল আমাদের ভোগ দখলে থাকা জমি দখলে নিয়ে পথ ঘিরে দেয়। অথচ এই জমির পক্ষে তার কোন কাগজ পত্রাদি নেই। আমরা বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও এই জমি সংক্রান্তে আমাদের মারপিট করায় তাদের বিরুদ্ধে করা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালাতে একটি মামলাটি চলমান রয়েছে।
চলাচলের পথ ঘিরে দেওয়ায় আমরা বিগত দুই মাস যাবত বাড়ীর ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে আছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও বিবাদী পক্ষ তাদের কোন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তাই বিষয়টি আমলে নিয়ে চলাচলের পথ উন্মুক্ত করতে এবং অবৈধভাবে জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী দুই পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে শিক্ষক মাও. আব্দুল মাজেদ বলেন- আমাদের জমির কাগজ পত্র আছে তাই দখলে নিয়েছি। তবে পথ ঘেরাটা ঠিক হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন।