সমীর রায়, আশাশুনি : ৫৩ বছর পরে ক্রয়কৃত জমির দখল বুঝে পেলো আশাশুনির বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ। উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম এর মধ্যস্ততায় গোয়ালডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত পরিষদের বেদখলী জায়গার দখল বুঝে নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান- পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে তৎকালীণ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন মকবুল ১৯৬৪ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত আমিনুদ্দীন গাজীর স্ত্রী আয়ফুল বিবির নিকট থেকে চাম্পাফুল মৌজার ৪২৫ নং এসএ খতিয়ানের ৭০/৭২১ দাগে ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে পরিষদের পক্ষ থেকে চেক দাখিলা প্রদান করা হয়। বর্তমান বিআরএস ৬৩৮ নং খতিয়ানও পরিষদের নামে রেকর্ড হয়েছে।
কিন্তু ১৯৭১ সালের পর থেকে গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের তাবারক সরদারের ছেলে মিজানুর সরদার ও সামাদ সরদার এবং ফজর সরদারের ছেলে হারুন সরদার বিভিন্ন কাগজপত্র সৃষ্টি করে পরিষদের উক্ত জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়ে নেয়। এরপর তারা সেখানে অবৈধভাবে ৩টি পাকা দোকানঘর নির্মান করে। জমি বুঝে নিতে গেলে তারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে হয়রানি করে আসছিলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমকে বিষয়টি জানালে তিনি অবৈধ দখলীকার ৩ জনকে ডেকে শান্তিপূর্ণ সমাধান করে পরিষদের জায়গা বুঝে দিয়েছেন। সোমবার সকালে সেখানে ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জুলফিকার আলী ভুট্টো ৫৩ জন ভিজিডি কার্ডধারীকে চাউল বিতরন করে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। এখন থেকে সপ্তাহে দুই দিন এ কার্যালয় থেকে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
৫৩ বছর পর জমির দখল বুঝে পেলো আশাশুনির বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/