ডেস্ক রিপোর্ট: ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুত করা ১৯৭টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে চলছে সংস্কার কাজ।
সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাশরুবা ফেরদৌস জানান, সোমবার দুপুরে ভার্চুয়ালি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার সরকারি ১৯৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া ৭৪০টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দুর্যোগকালিন সময়ে ব্যবহারের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
দুর্যোগকালিন চিকিৎসা সেবার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ৮৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া নিরাপদে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে ট্রলার প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে জেলাব্যাপী বৃষ্টি হয়েছে। বিকালেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জুলফিকার আলী জানান, অশনির অগ্রভাগের মেঘমালার কারণে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন জানান, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৮শ’ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সোমবার থেকে এসব স্থানে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক জিএম মাসুম বিল্লাহ বলেন, অশনির দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত পেয়ে ইতোমধ্যে মুখে মুখে প্রচার প্রচারণা চালানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়ন সিপিপির টিম লিডার জি এম মহিবুল্লাহ বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সমন্বয় করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ পেলে সাথে সাথে পতাকা উড়ানো হবে, মাইকে প্রচার করা হবে।
পদ্মপুকুর ইউপি সদস্য জাহানারা খানম বলেন, অশনির প্রভাবে সকাল থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদে ইতোমধ্যে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। ইউনিয়নের ৮টি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মানুষ উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে।