নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধ ও কমপ্লেক্স ভবন নির্মানে কচ্ছপগতির অভিযোগ ওঠেছে।
সোমবার ( ৯মে) সকালে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধ ও কমপ্লেক্স ভবনটি সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়। প্রকল্পটির শতকরা ৮০ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী ২০ ভাগ কাজ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। আরও দেখা যায় কমপ্লেক্সটির সম্মুখভাগে মাটি দ্বারা ভরাট,সাইড লাইটিং করা হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও করা হয়নি। স্মৃতি সৌধের পূর্ব অংশের দুটি রুমে পলেস্তরা করার পর যে রং করা হয়েছে তা উদ্বোধনের আগেই খসে খসে পড়ে গিয়েছিল। পরে আবার তা সংস্কার করেছে। প্রকল্পের ব্যয়,শুরু ও শেষ সম্বলিত কোন সাইনবোর্ড নেই। ফলে কত টাকার কাজ কবে নাগাদ এ কাজ শেষ হবে তা সাধারণ জনগণ কিছ্ইু জানে না।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,২০১৯ সালে ৪ঠা এপ্রিল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির কাজ থেমে থেমে এ পর্যন্ত এসে পৌছিয়েছে। নির্মাণের কাজের এ কচ্ছপ গতির কারণে সরকারের সুনাম নষ্ট হবে বলে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ চন্দ্র মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত করে চলেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধ ও কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শেষ সময়ে এসে গড়িমসি করার কারণে কমপ্লেক্স ভবনটি আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। আমাদের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি অচিরেই কমপ্লেক্স ও স্মৃতি সৌধ ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ করে হস্তান্তর করা হোক। এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অফিসের ব্যবহৃত নম্বরটি কেউ রিসিভ না করায় কোন মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রকল্পটি সর্ম্পূকে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ানুর রহমান কে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দ্রæত এর সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম জানান,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে নন গ্রেডের রড ও নি¤œমানে বালু ও খোয়া দ্বারা কাজ শুরু করার চেষ্টা করলে আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মাধ্যমে সেই মালামাল সরিয়ে দিয়েছিলাম।
কাজের সাইডে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন লোকজন সা থাকায় মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য,মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাড়ে ৩১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে খাজরা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কমপ্লেক্স ও স্মৃতি সৌধ নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিলেন মেসার্স জামিলা এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি শুরুতেই বিভিন্ন নি¤œমানে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে আসছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি দ্রæত কাজটি সম্পন্ন করা হোক।