Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনির মানিকখালী টু বড়দল সড়কে খানাখন্দ, সংস্কার দাবি

সমীর রায়, আশাশুনি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মানিকখালী ব্রিজ থেকে বড়দল ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১০ কি. মি. সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের অতি জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় জনভোগান্তির সীমা নেই। রোদ উঠলে ধুলো আর ধুলা আর বৃষ্টি হলেই গোয়ালাডাঙ্গা বাজারসহ কয়েকটি স্থানের হাঁটু পানিতে নাকানিচোবানি যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন, ট্রাক, পিকআপসহ মালবাহী গাড়ি চলাচল করে থাকে। সাতক্ষীরা, ভোমরা, শ্যামনগর থেকে পাইকগাছা, কয়রা ও খুলনায় এবং আশাশুনির দক্ষিণাঞ্চল গোয়ালডাঙ্গা বাজার থেকে খাজরা, আনুলিয়া, প্রতাপনগর যাতায়াত করে থাকে মানুষ।

সড়কের অসংখ্য স্থানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা দিয়ে যখন গাড়ি চলাচল করে তখন ধুলোয় চারিদিকে অন্ধকার দেখা যায় আবার একটু বৃষ্টি নামলেই গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই বছর যাবৎ বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হলেও যথাযথ সংস্কার কাজ না করায় ভোগান্তির অবসান ঘটেনি। জামালনগর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার গাজীর বাড়ির সামনে, গোয়ালডাঙ্গা বাজারের মধ্যস্থলে, বাজারের পূর্ব পার্শ্ববর্তী স’মিলের সামনে, সামাদ গাজীর বাড়ির সামনে, ফকরাবাদ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোজাম সরদারের বাড়ির সামনে থেকে পল্লী বিদ্যুতের পাওয়ার হাউজ এবং ফকরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে, এছাড়া বুড়িয়া গ্রামীণ ব্যাংক, কমিউনিটি ক্লিনিক ও আনিস গাজীর দোকানের সামনে, বড়দল কলেজিয়েট স্কুলের সামনেসহ বিভিন্ন স্থান খানাখন্দে ভরে গেছে।

এসব স্থানে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
গোয়ালডাঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিনয় কৃষ্ণ মিস্ত্রি জানান, প্রতিদিন খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝাউডাঙ্গা, পাটকেলঘাটা, তালা, কপিলমুনি, ভোমরা, নলতা থেকে চাউল ও ধান বোঝাই ট্রাক সহ মুদিখানা ও কাঁচামাল নিয়ে বাজারে বিক্রয় করে থাকে অনেক ব্যবসায়ী। রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় পরিবহন ঢুকতে চায় না। যার জন্য পরিবহন অনেক খরচ দিয়ে আনতে হয়। আর খরচ বেড়ে যাওয়ায় মালের মূল্য বেড়ে যায়। এতে খরিদ্দার বিপাকে পড়েছে।

বড়দল ইউপি চেয়রম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা জানান- সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের এটি একমাত্র সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক মেরামত না হওয়ায় মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এবং জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে সড়কটি মেরামতের জন্য আমি আবেদন করেছিলাম। তারই প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ দায়সারা মত কয়েকটি জায়গায় কাজ করেছে, বাকিটা পড়েই আছে। তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি টেঁকসই করে নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version