সমীর রায়, আশাশুনি : ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ এর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেডড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আশাশুনিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
গত ৮ মে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগের জন্য ফোন (০৪৭২২-৫৬০২১) ও (০১৭১৯-৫৩৭১৩২) নং মোবাইল ফোন নম্বরে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
১০ মে রাত ১২ টা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ ঘোষ (০১৭১৬-১৬৯৩০১), ওই দিন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা বিএম ফিরোজ আহমেদ (০১৭১২-৮০৬৪৩৩),
১১ মে রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (০১৭২০-০০২৮৬৫), ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত নির্বাচন অফিসার কামরুজ্জামান শিকদার (০১৭১৬-৭২৮৮৩৬),
১২ মে রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান (০১৭১৯-৫২৭১৩২), ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, (০১৭১৬-৪৬৩৫৮৫),
১৩ মে রাত ১২ টা দুপুর ১২ পর্যন্ত পূনরায় বিশ্বজিৎ ঘোষ ও দুপুর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পিআইও সোহাগ খান,
১৪ মে রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সহকারী পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন (০১৭২৪-৭৮৮৭৩৩) ও ওই দিন দুপুর থেকে রাত ১২ পর্যন্ত পূণরায় পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা বিএম ফিরোজ আহমেদ দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রত্যেক কর্মকর্তাদের অফিস আদেশ প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ানুর রহমান।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় অশনি’র প্রভাবে সকাল থেকে আকাশে মেঘ ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। নদীর জোয়ারে এখনও বড় ধরনের প্রভাব না পড়লেও উপজেলা সদরের দয়ারঘাট, জেলেখালি, প্রতাপনগরের রুইয়ারবিল কুড়িকাহনিয়া, সুভদ্রাকাটি, চাকলা, হরিশখালি, শ্রীউলা, আনুলিয়া, বড়দল ও বুধহাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ জ্বরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।