সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজলার কৈখালী ইউনিয়নে পূর্বের মামলা তুলে না নেওয়ায় এক অন্তসত্বা গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অন্তসত্বা গৃহবধূর স্বামী শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, কৈখালী ইউনিয়নের বৈশালী গ্রামের আবু তালেবের পুত্র আল-আমিন পূর্বের মামলা তুলে না নেওয়ায় গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে ব্যাপক মারপিট করে জখম এবং অন্তসত্বা গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করে একই এলাকার মৃত আহাম্মাদ গাজীর পুত্র মোসলেম গাজী, মোসলেম গাজীর পুত্র মোঃ রুবেল, মিজানুর রহমানের পুত্র মোঃ রেজকাউল, মোঃ রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ মৌসুমী, মোসলেম গাজীর স্ত্রী মোছাঃ নুরনাহার। এর আগে বেলা দেড়টার দিকে আল-আমিন ও তার অন্তসত্বা স্ত্রী কবিতা নাছরিন মটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মোসলেমের বাড়ির সামনে ইটের সোলিং রাস্তার উপর পৌঁছানো মাত্রই আসামীরাসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং আল-আমিনের স্ত্রীর কাছে থাকা সোনার গোহনা কেড়ে নেয় ৷ অন্যদিকে আল-আমিনের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং তার অন্তসত্বা স্ত্রীর গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টাসহ শ্লীলতাহানী করে।
এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা আল-আমিন ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে আল আমিন বলেন, আমি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত নং-৫ বিজ্ঞ আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে সি, আর মামলা নং – ৬৩১/২১ ( শ্যামনগর ) , আদেশ নং – ০১ , তারিখ – ২৫/১১/২১ এবং স্মারক নং – ৩৩০ , তারিখ – ২৯/১১/২০২১ , ধারা – ৪৪৭,৩২৩,৩৮৫,৩৮৭,৫০৬ (২য়) পেনাল কোড দায়ের করি। তারপর থেকে আসামীরা আমার ও আমার পরিবারেরর সদস্যদের ক্ষতি সাধন ও হত্যার জন্য পায়তারা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ হামলা করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেছি। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফজলে রাব্বী বলেন, প্রাথমিক ভাবে মামলার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যহত আছে।