নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে আবাদকৃত ধান সংগ্রহে খাজরার কৃষক-কৃষানিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে কৃষকের স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে শ্রমিকের পাশাপাশি ঘরের নারীদেরও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ করতে দেখা যায়।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সরেজমিনে খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া, ফটিকখালী, পিরোজপুর,দুর্গাপুর গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে মাঠ ভরা সোনালী বোরো ধান মৃদুমন্দ বাতাসে দুলছে। চারিদিকে কাঁচা-পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত গ্রামাঞ্চল। কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকায় তাদের সোনার ধানকে বিনষ্ট হতে দেয়নি। তবে ফসল তোলার শেষ সময়ে কিছু কিছু ক্ষেতে বøাষ্ট রোগের লক্ষন দেখা দিয়েছিল। পরে বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করে তা নিয়ন্ত্রণে আনে কৃষকরা। ইতিমধ্যে ৮০ভাগ কৃষকের বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন কর্তনকৃত ধান কৃষকের ঊঠানে এনে মাড়াই,বস্তাবন্দী পর্যায়ে আছে।
খাজরা ইউনিয়নে এবার চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৪শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার অনেক নতুন নতুন কৃষি ক্ষেত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, এবার প্রতি বিঘা জমি বীজ,চাষ,সার,কীটনাশক,শ্রমিকের মূল্য দিয়ে আবাদ করতে ৮হাজার থেকে ৯হাজার টাক খরচ হয়েছে। বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫মন ধান আশা করছি। এরপর আর যদি কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটে তাহলে আমরা বোরো ধানের বাম্পার ফলন আশা করছি। সেই সাথে আমাদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কামনা করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, আশাশুনি কৃষি অফিসের মাধ্যমে খাজরা বøকে বোরো আমন ধানের বীজ,সার,কীটনাশক থেকে শুরু করে ফসল কৃষকের ঘরে তোলা পর্যন্ত সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছে। সময়মত কৃষকের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। ন্যায্য মূল্যে কৃষকের ধান ক্রয় করা হবে বলে আশা রাখি। এছাড়াও কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসিবে খাজরার প্রান্তিক কৃষকদের হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।