ডেস্ক রিপোর্ট : আশাশুনির খরিয়াটিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি জবর দখল চেষ্টায় হামলা এবং মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আশাশুনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশাশুনির খরিয়াটি গ্রামের মৃত প্রভাষ সরকারের পুত্র সুনীল সরকারের সাথে নিজেদের শরিক এবং একই এলাকার মো: আনার গাজীর পুত্র মইনুর গাজী গংয়ের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২৩ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মইনুর গাজীর নেতৃত্বে একই এলাকার আব্দুল গাজীর পুত্র মোত্তাজুল গাজী, মৃত আব্দুল জলিলে পুত্র রিয়াছত আলী,আব্দুল গাজীর পুত্র হাফিজুল ইসলাম, মৃত সুলতান গাজীর পুত্র করিম গাজী, করিম গাজীর পুত্র ফারুক গাজী, মৃত সিরাত গাজীর পুত্র বারিক গাজী, মৃত. সোহরাব গাজীর পুত্র আলমগীর গাজী, জাহাঙ্গীর গাজী, আনার গাজীর পুত্র শাহিনুর গাজী, মৃত. বাখের গাজীর পুত্র আব্দুল গাজী, মৃত বিশু গাজীর পুত্র আনার গাজীসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সুনীল সরকারের বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ঘেড়াবেড়া দেওয়া শুরু করে।
এতে বাধা দেওয়ায় সুনীলের কাকা চিত্তরঞ্জন সরকার, কাকিমা তারকি রানী সরকার, কাকাতো ভাই নয়ন সরকার কাকিমা মিনতী রানী সরকারকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এছাড়া লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে কাকা চিত্তরঞ্জনের মাথা থেতলিয়ে দেয় এবং মিনতী রানীর পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটনায়। সে সময় তাদের ডাক চিৎকারী স্থানীয় ছুটে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে। হামলাকারী চলে যাওয়ার সময় তাদের ভিটাবাড়ি দখল করে নিয়ে তাদেরকে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটি নিরাপত্তা এবং মারপিটের ঘটনায় তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।