এপ্রিল ৯, ২০২২
কলারোয়ায় এবার মহাসড়কের জায়গা দখল নির্মিত হচ্ছে দ্বিতল ভবন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সড়ক ও জনপদের জায়গা দখলমুক্ত করার দাপ্তরিক নির্দেশনা থাকলেও সকল নির্দেশনা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় সড়ক ও জনপদের জায়গা দখলে নিয়ে অদৃশ্য ক্ষমতায় নির্মিত হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ দ্বিতল ভবন। শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পৌর সদরের পশু হাসপাতালে সামনে সরেজমিনে মহাসড়কের জায়গায় অবৈধ ভাবে ভবন নির্মাণের এমন দৃশ্য দেখা যায়। অভিনব কৌশল অবলম্বন করে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণের এমন কারসাজিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে উপজেলা পশু হাসপাতালের মধ্যে অনুমোতি ছাড়াই ভবন নির্মাণের জন্য যত্রতত্র রাখা ইট পাথর ময়লা-আবর্জনা ও মিনি পিক-আপ গাড়ি রাখায় ব্যাহত হচ্ছে প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের। এক সাথে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন খামারীরা। সেখানে নির্মাণ সামগ্রী রেখে ২৪ ঘন্টা গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। সরকারি ছুটির দিন থাকলেও হর হামেশাই তালা খুলে সংরক্ষিত ওই হাসপাতালের মধ্যে যাতায়াত করছে ভবন নির্মাণের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা। যদি প্রশাসনের নাকের ডগায় ও সরকারি পশু হাসপাতালের মধ্যে এমন ভাবে সরকারি জায়গা দখল হয় এবং সেখানে অবৈধভাবে স্থানীয় পৌরসভা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে দ্বিতল ভবন নির্মাণ হয় তাহলে আইনের উপর থেকে মানুষ আস্থা হারাবে। সরকারি জায়গা দখল নিয়ে মানুষের চলাচলের ব্যস্ততম রাস্তা অবৈধভাবে দখলদারিত্বের সাথে যারা লিপ্ত হচ্ছে তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন সচেতন মহল। তালিকাভুক্ত এক রাজাকারের ছেলের ছত্রছায়ায় ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মহা সড়কের সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার হিজলদি এলাকা থেকে উঠে আসা পৌরসদরের গদখালী এলাকার ইয়াসিন আলির ছেলে আলম হোসেন ও দেয়াড়া ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গার মুনতাজ রাজাকারের ছেলে কথিত সাংবাদিক পরিচয় ধারি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি জায়গা দখল হচ্ছে আবার সেখানেই বহুতল ভবনও নির্মাণ হচ্ছে এসকল নেক্কারজনক কাজের সাথে যে বা যারাই জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন। একদিকে সরকারি রাস্তা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে অপরদিকে পশু হাসপাতালের জায়গাও দখল করে অবাধে মালামাল রাখছে তারা এ যেন মগের মুল্লুক পেয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন কি বিষয়টি দেখছে না।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত আলম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডক্টর অমল কুমার সরকার বলেন, হাসপাতালে জায়গা দখল মুক্ত করার জন্য তাদেরকে বারবার বলা হলেও তারা কোনো কথাই তোয়াক্কা করছে না। অবাধে তারা চলাফেরা করছে এমনকি তাদের মালামাল ও অবৈধভাবে রাখছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, মহাসড়কের রাস্তার জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে সরজমিনে গিয়ে নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে যাতে তারা অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 8,586,559 total views, 3,245 views today |
|
|
|