Site icon suprovatsatkhira.com

শ্যামনগরে ডেনমার্কের রাজকুমারীর আগমনে আশায় বুক বেঁধেছে উপকূলবাসী

সুন্দরবনাঞ্চল প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী এলাকায় ভ্রমণ করলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনল্ডসন। রাজকন্যার নিরাপত্তায় ব্যবহারকারী দুটি হেলিকপ্টার ১০টা০৮মিনিটে অবতরণ করেন শ্যামনগর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পশ্চিম পাশে ২ ও ৩ নাম্বার হেলিপ্যাডে। তার কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ধানখালি গ্রামের শেখ বাড়ি মোড় সংলগ্ন এক নাম্বার হেলিপ্যাডে ১০টা১৩মিনিটে অবতরণ করেন। হেলিকপ্টার থেকে নেমে রাজকন্যা ম্যারি উৎসুক জনতাকে হাত নাড়িয়ে অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রীয় অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির ও সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)। এরপর কড়া নিরাপত্তায় মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলী গ্রামে পরিদর্শন করলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন। সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজকুমারী মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে পৌঁছান। সেখানে ইউনিয়ন সিপিপি ইউনিয়ন টিম লিডার জগদীশ চন্দ্র মন্ডলসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সাথে দুর্যোগ মোকাবেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেন। কুলতলী এলাকার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এ সময় এডভোকেসি গ্রæপের সদস্য পুষ্পরানির নেতৃত্বে কুলতলী গ্রামে খাল খনন করার ফলে এলাকার মানুষের কৃষিনির্ভর জীবন-জীবিকা বেড়েছে বলে জানান।

তিনি বলেন পূর্ব এই এলাকা জলাবদ্ধতা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এলাকার মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য বাইরে যেতে হতো এই খাল খনন করার ফলে এলাকার কৃষি ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। এলাকার মানুষ এলাকায় টিকে থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার প্রতিবেশ পরিবেশ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে এ বিষয়গুলি তিনি তুলে ধরেন। মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা রাজকুমারীকে বলেন, আমাদের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলী গ্রাম সবচেয়ে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ। উপকূলীয় বাঁধ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের মুন্সীগঞ্জ কুলতলী মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করার জন্য খাল খননের দাবি তুলে ধরেন।

তাছাড়া ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নেন রাজকুমারী। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় বাঁধ এলাকা হেঁটেছেন তিনি। পরে কুলতলী থেকে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম পরিদর্শন শেষে পার্শ্ববর্তী বরসা রিসোর্টে অবস্থান করেন। সেখানে দুপুরে খাওয়া দাওয়া পর বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা সহ সুন্দরবনে কলাগাছিয়া ঘুরে দেখেন। তারপর বিকেলে ঢাকায় ফিরে যান। রাজকুমারী ভ্রমণ সফল করতে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজকুমারীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে রাখা হয়েছিল এ অঞ্চল। প্রশাসনিক ভাবে কড়া নিরাপত্তা নজরদারিতে রাজকুমারীর সফর সফল করতে সকলের সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। রাজকুমারীর আগমন এলাকায় খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version