Site icon suprovatsatkhira.com

তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে বিবাহ রেজিস্টার নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন

তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার ৫নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে শূন্য হওয়া বিবাহ রেজিস্টার (কাজী) নিয়োগ বোর্ড অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে। এই ইউনিয়নে বিবাহ রেজিস্টার না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া তালা সদর ইউনিয়ন বিবাহ রেজিস্টারের প্রতিনিধি বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করাসহ নানান দূর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছিল। এতেকরে বহু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিপাকের মধ্যে ছিল। অবশেষে বিবাহ রেজিস্টার বোর্ড সম্পন্ন করে ৩জনের একটি প্যানেল প্রণয়ন করে মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। তবে এরইমধ্যে বিবাহ রেজিস্টার নিয়োগ নিয়ে নানান অপপ্রচার সহ ঘুষ লেনদেন করার অভিযোগ উঠেছে। একটি চক্র লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এমনকি আওয়ামীলীগ কর্মীকে জামায়াত নেতা ও রাজাকার পুত্র আখ্যায়িত করে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জমা দিয়ে বিশেষ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে ওই মহলটি। সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্টার (কাজী) রাকিবুচ্ছায়াদাত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন। এরপর থেকে শূন্য এই পদের জন্য একাধিক প্রার্থী বিভিন্ন মহেল লবিং চালাতে থাকে। এক প্রার্থী টেম্পারিং করা সনদ দিয়ে আবেদন করে। বিষয়টি গত ১৩ এপ্রিল তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) নিয়োগ বোর্ডে ধরা পড়ে। নিয়োগ বোর্ডে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ. তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস সহ বোর্ডের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এব্যপারে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন হয়েছে।

সেখান থেকে ৩জনের একটি প্যানেল তৈরি করে ঢাকায় প্রেরন করা প্রক্রিয়াধিন। প্যানেলের মধ্যে কে নিয়োগ পাবে তা এখনও কেউ নিশ্চিত নয়। কিন্তু এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে কোনও কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল, এটা দুঃখজনক। শিরাশুনি গ্রামের প্রার্থী ফরিকুল ইসলাম জানান, তিনি স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন এবং মৌখিক পরীক্ষায় ভাল করেছেন, এজন্য নিয়োগ পাবার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। ফরিকুল ইসলাম বলেন, ১জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র টেম্পারিং থাকায় নিয়োগ বোর্ড তা ধরে ফেলে। একারনে তার নিয়োগ হবেনা এটা বুঝতে পেরে ওই প্রার্থী সহ কতিপয় নেতারা নানাভাবে ফরিকুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি শংকর কুমার দাশ, সাধারন সম্পাদক এম.এম. নুরুল্লাহ, ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি একএেম আশরাফুজ্জামান ও সাধারন সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান, সাবেক সভাপতি মো. রহমত আলী মোল্লা এবং সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবলু কর্তৃক দেয়া প্রত্যয়নপত্র সূত্রে জানা গেছে, শিরাশুনি গ্রামের মৃত. লুৎফর রহমান শেখ এর ছেলে ফরিকুল ইসলাম ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে ব্যপক প্রচার-প্রচারনা চালান এবং নৌকা প্রতিকে ভোট দেন। তিনি ও তার পরিবারের সকলে আওয়ামী লীগের সক্রীয় কর্মী এবং সমর্থক। এছাড়া ফরিকুল ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পটালন করে। অথচ, তথাকথিত নেতারা তাদের ঘুষ বানিজ্য হালাল করতে পরিকল্পিত ভাবে ফরিকুল ইসলাম এবং তার পিতার বিরুদ্ধে নানান কুৎসা রটাচ্ছে এবং হয়রানী করছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version