সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনিতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে আকস্মিকভাবে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সরজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ’র সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত অমাবস্যা গোণ থেকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামে বেড়িবাঁধে প্রায় ২০০ ফুট স্থান জুড়ে আকস্মিকভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কপোতাক্ষ নদের অব্যহত ভাঙনে মূল বেড়িবাঁধের একের তিন অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমের ঝড় জলোচ্ছ্বাসে এ বেড়িবাঁধ ভেঙে আবারো বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে প্রতাপনগরের শ্রীপুর কুড়িকাহনিয়া গ্রামের লঞ্চঘাটের উত্তর ও দক্ষিণ সীমানা এবং মাদারবাড়িয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রতাপনগরের রুইয়ারবিল, কুড়িকাহনিয়া, সুভদ্রাকাটি, চাকলা, মাদার বাড়িয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ গুলি পরিদর্শন করেছেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয়দের বলেন ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ গুলি সংস্কার করার জন্য দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াস এর প্রভাবে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ার ভাটায় প্লাবিত হয়ে প্রায় দুবছর প্রতাপ নগর ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবন যাপন করেছেন। তাই জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ইউনিয়নবাসী।