Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে মাছের ডিপোয় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল !

সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনির বুধহাটায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫ বস্তা চাউল পাওয়া গেছে বাজারের এক মাছের ডিপোয়। এব্যাপারে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, বুধহাটা এলাকার চাউল ডিলারের দায়িত্ব পালন করছেন নজরুল ইসলাম। এবার দুর্নীতি ও অনিয়ম রুখতে তাকে শ্বেতপুর গ্রামে বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই তিনি বুধহাটা করিম সুপার মার্কেটে ঘর ভাড়া দেখিয়ে ১১৮৪ টি কার্ডের বিপরীতে ৩৫ হাজার ৫২০ কেজি চাউল উঠান।

চাউল বিতরণকালে প্রতিবারের মতো তার বিরুদ্ধে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করে। স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তিনি শুরু থেকে ৩০ কেজি স্থলে ২৯ কেজি করে চাউল দিতে থাকেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সাড়ে ২৯ কেজি করে দেয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেন। এসময় অনেকের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে নেওয়া হলেও তাদেরকে চাউল না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ২১ এপ্রিল বিতরণ কাজ শেষে ২৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ট্যাগ অফিসার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের কাছে হিসাব মিলিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। কিন্তু পরদিনই (২৬ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় লোকজন বুধহাটা বাজারের খোকন এর মাছের ডিপোর মধ্যে সরকারি ৫ বস্তা চাউল দেখে খবর দিলে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

ট্যাগ অফিসার রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, চাউল বিতরণ শেষ হওয়ার পর আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। আমার জানামতে কোন চাউল বিতরণ করতে বাকি ছিলনা।
ডিলারের সহযোগী অমেদ আলি জানান, ১৮ জনের চাউল দিতে বাকী আছে। তাদের জন্য ৫ বস্তা চাউল এখানে এনে রাখা হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, আমি আজই নতুন যোগদান করেছি। আমি কোন অনিয়ম হতে দেবনা। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমানকে মোবাইল জানান হলে, তিনি জরুরী মিটিং এ আছেন, ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

উপস্থিত সচেতন ব্যক্তিবর্গ জানান, ১৮ জনের চাউল দিতে বাকী থাকলে চাউল লাগবে ৫৪০ কেজি। কিন্তু আছে ২৫০ কেজি। তাহলে হিসেবে গরমিল হচ্ছে কেন। তাদের দাবী করিম মার্কেট থেকে ৫ বস্তা নয়, অনেক বেশী চাউল সরানো হয়েছে। যার মধ্যে এখানে রয়েছে মাত্র ৫ বস্তা। তারা দাবী করেন, ১৮ জন নয় কমপক্ষে ৩০/৪০ জন কার্ডধারীকে চাউল দেয়া হয়নি। তাছাড়া প্রত্যেককে এককেজি করে কম দিলে ১১৮৪ কেজি চাউল উদ্বৃত্ত থাকে। এ চাউল গেল কোথায়?
এমন ঘটনা আজই নতুন নয়, খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার আলমগীর হোসেন ও তার পিতা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ হয়েছিল।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version