Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে গুনাকরকাটি টু রুদ্রপুর নির্মাণাধীন কার্পেটিং সড়ক খুঁড়ে মরা নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনিতে গুনাকরকাটি টু রুদ্রপুর নির্মাণাধীন কার্পেটিং সড়ক খুঁড়ে মৃতপ্রায় বেতনা নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুল্যা ইউনিয়ন বাসী। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার না করে মজে যাওয়া নদীর বেড়ি বাঁধ সংস্কার করতে এতো তড়িঘড়ি করায় পাউবোর ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বুধবার সকালে কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি টু রুদ্রপুর সড়কে শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান ওমর সাকি পলাশ, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ খান মধু, ফারুক হোসেন, ফরহাদ হোসেন, জুয়েল রানা, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন- আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি ব্রিজ টু রুদ্রপুর ওয়াপদার উপর দিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন কার্পেটিং সড়কের খোয়া বালি স্কেবেটর মেশিন দিয়ে খুঁড়ে সেখানে মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধ দেওয়া হচ্ছে।

এই সড়ক দিয়ে মাছখোলা হয়ে সদর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কলারোয়া তালা উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘকাল যাবৎ মজে যাওয়া বেতনা নদীর ওয়াপদার উপর দিয়ে মানুষের যাতায়াত থাকলেও বর্ষা মৌসুমে এলাকার মানুষের পথচলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির ধান, পার্শ্ববর্তী ইটভাটার ইট ও মাছ পরি বহনের জন্য একমাত্র সড়ক হিসাবে এ পথই ব্যবহার হয়ে আসছে।
মানুষের কষ্ট নিবারণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এলজিইডি গত বছর প্রায় ৩ কি.মি. সড়কে কার্পেটিং করার জন্য ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে। ২/১ দিনের মধ্যে কার্পেটিং শুরু করার কথা।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে মেশিন লাগিয়ে ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ সড়কের উপর থেকে খোয়া-বালি উঠিয়ে সেখানে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালেও কেউ তাতে কান দেয়নি। সোমবার সকলে আমরা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপিকে বিষয়টি অবহিত করার পর কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলছেন পাউবো’র অনুমতি নিয়ে জনস্বার্থে মজে যাওয়া নদীর বেড়িবাঁধের উপর এক বছর আগে থেকে কাজ করা হচ্ছে। আর
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন অনুমতি নেয়া হয়নি। আমরা দেখছি পাকা রাস্তা খুঁড়ে মৃতপ্রায় নদীতে খুব আগ্রহ নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙনে আতঙ্কিত এলাকার বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে না। বক্তারা পাউবোর এই দ্বৈত নীতিকে পরিহার করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের স্বার্থরক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version