কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরুস্কার বিতরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, কলারোয়া থানাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা-কলারোয়া আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। মূলত সেদিনই স্বাধীন দেশ হিসেবে একপ্রকার বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে যায়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০ লাখের বেশি জনসমুদ্রে পাকিস্তানি শাসকের হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে রেসকোর্স ময়দানে ২৩ বছরের বঞ্চিত, অবহেলিত ও শোষিত বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। তাঁর ১৮ মিনিটের অসামান্য ভাষণে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টির পরিচয় মেলে। সেই দিন বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ নতুন জীবনের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়। সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের উপর আমার অনুরোধ রইল প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।’ এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মূলত পাকিস্তানি হানাদারদের আলটিমেটামই দিলেন। অন্যদিকে মুক্তিকামী বাঙালিকে বাতলে দিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মপন্থা-কৌশল। দিলেন মুক্তির পথের সঠিক দিকনির্দেশনা।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল আসলাম লালটু , কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মৃধা, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাবেক অধ্যক্ষ আবু নসর, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিরা ভাইস-চেয়ারম্যান শাহনাজ নাজনীন খুকু, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলিমুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদেরকে পুরুস্কার প্রদান করা হয় এবং সন্ধ্যায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।